মহাকুম্ভ মেলায় তাল কাটল বিধ্বংসী আগুন
মহাকুম্ভ শুরুর ৭ দিনের মাথায় তাল কাটল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মেলায়। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল একের পর এক তাঁবু। কেন আগুন তাও জানা গেছে।
মহাকুম্ভ মেলা শুরুর পর একটি অমৃত স্নান হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই কয়েক কোটি মানুষ কুম্ভ স্নান সেরেছেন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে রমরম করছে প্রয়াগরাজের নদী পার। মানুষের থাকার জন্য যেমন এবার দারুণ বন্দোবস্ত, তেমনই কড়া সুরক্ষা বলয়।
কিন্তু তার পরেও দুর্ঘটনা ঘটেই গেল। আর তা ঘটল মেলা শুরুর ৭ দিনের মাথায়। ১৯ নম্বর সেক্টরে রবিবার একটি তাঁবুতে আগুন লাগে। তারপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক তাঁবুকে।
গায়ে গায়ে তাঁবু। সেই সঙ্গে নদী পারের হাওয়া। ফলে আগুন ছড়াতে সময় নেয়নি। আগুনে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে অনেকগুলি তাঁবু। দ্রুত শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজও।
সাধারণ মানুষও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। প্রাথমিকভাবে যা জানা যাচ্ছে তাতে একটি তাঁবুতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লাগে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের তীব্রতায় আগুন দ্রুত আশপাশের তাঁবুতে ছড়ায়।
তাঁবু যেহেতু পুরোটাই দাহ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়, তাই আগুন ছড়াতে থাকে প্রবল গতিতে। দমকল কুম্ভমেলা চত্বরে তৈরিই ছিল। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলবাহিনী।
এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক হলেও এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দ্রুত মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগুনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় অল্প সময়ে।
মহাকুম্ভ মেলার আয়োজনে ত্রুটি রাখতে চায়নি যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এদিন প্রধানমন্ত্রীও আগুন লাগার খবর পেয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
এমন যাতে আর না হয় তার বন্দোবস্ত পাকা করতে উদ্যোগী উত্তরপ্রদেশ সরকার। আগুন লাগলেও তাতে মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের উৎসাহে এতটুকু ভাটা পড়েনি। পূর্ণ উৎসাহে চলেছে পুণ্যস্নান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা