National

পদপিষ্টের ঘটনার জের, কুম্ভমেলায় জারি একগুচ্ছ বিধিনিষেধ, ছাড় পাচ্ছেনা শহরও

মহাকুম্ভে মৌনী অমাবস্যার অমৃত স্নানের দিন পদপিষ্টের ঘটনার পর এবার প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে উঠল। একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি হল কুম্ভমেলায়। ছাড় পাচ্ছেনা প্রয়াগরাজ শহরও।

মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০টি প্রাণ যাওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। যে তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ২ জন বাসিন্দাও রয়েছেন। ৬০ জনের ওপর আহত হয়েছেন।

মৌনী অমাবস্যার পুণ্য অমৃত স্নানের দিন যে ঘটনা ঘটল কুম্ভমেলায় তা কখনওই অভিপ্রেত ছিলনা। এই ঘটনার পর কত মানুষের জীবন গেছে তা জানাতেই প্রশাসনের তরফে বিকেল গড়িয়ে যায়।

দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে। এই পদপিষ্টের ঘটনার পর এবার যেন হুঁশ ফিরল প্রশাসনের। কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে জারি হয়েছে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ।

মূলত ৫টি বিধিনিষেধের কথা কুম্ভ মুখী বা কুম্ভ থেকে ফেরার চেষ্টা করা মানুষজনের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। মহাকুম্ভ মেলা প্রাঙ্গণে যেকোনও ধরনের গাড়ি ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।


এমনকি ভিভিআইপি-দের গাড়িও আর মেলায় ঢুকতে দেওয়া হবেনা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিভিআইপি পাশ বিলি করা বা সেই পাশকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ হয়েছে। ভিভিআইপি পাশ কারও সঙ্গে থাকা বা না থাকা এখন সমান।

তৃতীয়ত, অনেক পুণ্যার্থী উত্তরপ্রদেশেরই বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ি করে প্রয়াগরাজে হাজির হচ্ছিলেন। এখন থেকে সেসব গাড়ি প্রয়াগরাজে ঢুকতে পারবেনা। জেলার সীমান্তেই সেসব গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে।

চতুর্থত, পুণ্যার্থীদের একই পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে পুণ্যার্থীরা একবার কুম্ভের দিকে এগোতে থাকলে বা কুম্ভমেলার ভিতরেও একই দিকে হেঁটে যেতে পারেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজ শহরেই কোনও গাড়ি বাইরে থেকে আর ঢুকতে পারবেনা।

প্রসঙ্গত ২টি শাহি স্নান বা অমৃত স্নান শেষ হয়েছে। এখনও একটি স্নান বাকি। সেই অমৃত স্নান রয়েছে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর দিন।

ওইদিনও কোটি কোটি মানুষের পুণ্যস্নানে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই এখন থেকেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন।

অনেকের মতে, এই বিধিনিষেধ কুম্ভের শুরু থেকে করলে বা পুণ্যার্থীদের সঠিকভাবে চালনা করতে পারলে হয়তো এই ভয়ংকর পদপিষ্টের ঘটনা এড়ালেও এড়ানো যেত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button