মানুষের চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার হয় কীভাবে
আনুমানিক দশম শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন মহাযোগী গোরখনাথ। তাঁরও পদধূলি পড়েছিল প্রয়াগে। এক সময় তিনিও ত্রিবেণীতে সমাপন করেছিলেন স্নান ও পূজাদি।
আনুমানিক দশম শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন মহাযোগী গোরখনাথ। তাঁরও পদধূলি পড়েছিল প্রয়াগে। এক সময় তিনিও ত্রিবেণীতে সমাপন করেছিলেন স্নান ও পূজাদি। এইভাবে শত শত বছর ধরে অগণিত সাধক যোগী মহাপুরুষের পদধূলিতে পূত হয়েছে প্রয়াগের প্রতিটি ধূলিকণা।
একই সঙ্গে গঙ্গার মাহাত্ম্য বর্ণনাকালেও এসেছে প্রয়াগের কথা। তীর্থ মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে ঋষিশ্রেষ্ঠ পুলস্ত পৌরাণিক গঙ্গাদ্বার তথা আজকের হরিদ্বারের গঙ্গা তীরে বসে বলেছিলেন, নিষ্পাপ কুরুশ্রেষ্ঠ মহামতি ভীষ্মকে, ‘কুরুনন্দন! যেখানে সেখানে অবগাহন করা হউক না কেন, সর্বত্রই গঙ্গা কুরুক্ষেত্রের তুল্য, কিন্তু গঙ্গা কনখলে (হরিদ্বারে) বিশেষ তীর্থ এবং প্রয়াগে অতি মহাতীর্থ।।…
পুষ্কর, কুরুক্ষেত্র, গঙ্গা এবং প্রয়াগাদি মধ্যবর্তী তীর্থে স্নান করিয়া মানুষ ঊর্ধ্বে সাত পুরুষ এবং নিম্নে সাতপুরুষকে উদ্ধার করে।।’ (মহাভারত, বন পর্ব, সপ্ততিত মোহধ্যায়ঃ।)
প্রয়াগ-এ সেই তীর্থ, যাকে বলা যায় মহাভারতের মহামানবের মহামিলন ক্ষেত্র। এখানে, এই প্রয়াগেই অজ্ঞাত কোনও কাল থেকে মহাকুম্ভে আজও সাধুসন্ন্যাসী, শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌর, বৈরাগী, নাগা, গাণপত্য, আউল, বাউল, পরমহংস, দণ্ডী, অবধূত, রামায়েৎ, বৌদ্ধ, জৈন – সকলের মিলিত ঐকতান ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।’ — ছবি – শিবশংকর ভারতী