মামুলি আনাজ দেখলেও কেন ভয়ে পালান অনেকে
সাধারণ আলু, পটল, মুলো, ঝিঙে বা এমন অনেক আনাজ। যা প্রতিদিন মানুষের খাবারের পাতে পড়ছে। কিছু মানুষ কিন্তু এগুলোকে যমের মত ভয় পান।
আমজনতার জীবনে বেঁচে থাকার অন্যতম খাদ্য হল আনাজ। মাছ, মাংসের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দাম কম। উপকারও অতুলনীয়। এমনকি মাছ মাংসের পাশাপাশি খাবার পাতে তরকারি তো থাকেই।
বিভিন্ন দেশে সেখানে বেশি ব্যবহৃত আনাজ পাওয়া যায়। এক এক জায়গায় এক এক রকম রান্না। আবার এখন তো চিকিৎসকেরাও আনাজ খেতে বলছেন।
এমনকি অনেকে তো মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া ছেড়ে ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাচ্ছেন। কেবল আনাজপাতির ওপর জীবন কাটাচ্ছেন। সেখানে এমন মানুষও রয়েছেন যাঁরা আনাজ দেখলেই ভয় পান। ভয়ের কারণও রয়েছে।
তাঁদের কারও আনাজ পেটে গেলে হাঁপানি হতে শুরু করে, কারও দমবন্ধ হয়ে আসে, কারও মনে হয় প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাচ্ছে, কারও বমি পেতে থাকে, কারও আবার হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়। এমন নানা কাণ্ড শরীরে ঘটতে শুরু করে। ফলে তাঁরা আনাজ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব রেখে চলেন।
এঁদের বলা হয় ল্যাচানোফোবিয়া রোগী। কথাটা এসেছে গ্রিক শব্দ ল্যাচনো অর্থাৎ আনাজ এবং ফোবিয়া অর্থাৎ ভয় থেকে। এঁরা আনাজ দেখলেই ভয় পেতে শুরু করেন।
নানা কারণে এই রোগ জন্ম নিতে পারে। কারও শিশু বয়সেই এমন কিছু আনাজ থেকে হয়তো হয়েছিল তা থেকে তাঁর মধ্যে ভয় ধরে গেছে।
কারও অন্য কোনও কারণে। তবে শুনতে যতই অবাক করা হোক না কেন বিশ্বে অনেক মানুষ এমন আছেন যাঁরা আনাজের ত্রিসীমানার মধ্যে থাকেন না।