গরমে শুকিয়ে গেল প্রকাণ্ড জলাশয়, উঁকি দিল জলের তলায় হারানো গ্রাম
এমন গরম আগে দেখা যায়নি। গত কয়েক বছরে গরম বেড়েছে। আর সেই প্রবল গরমে শুকিয়ে গেছে অতিবিশাল জলাশয়ের জল। তাতেই উঁকি দিচ্ছে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম।
সময়টা ১৯৪০-এর দশক। সে সময় একটি গ্রাম বন্যায় কার্যত হারিয়ে যায় জলের তলায়। এমনটা অনেক জায়গায় হয়। পরে জল সরলে সেখানে মানুষজন ফিরে আসেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্রামটিকে না রেখে সেখানে একটি জলাশয় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।
ফলে গ্রামের মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। সেখানে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। তবে সেগুলির পাথরের নির্মাণের কিছু কিছু অংশ রয়েই যায়।
একটি গির্জা ছিল যা প্রথমে ভাঙা হয়নি। সেটিকে রেখেই একটি বিশাল জলাশয় তৈরি করা হয়। কিন্তু মানুষজন সাঁতরে গির্জার চূড়া ধরার চেষ্টা শুরু করলে সেটিকেও ভেঙে দেওয়া হয়।
এরপর পাহাড় ঘেরা বিশাল এলাকা নিয়ে এক প্রকাণ্ড দিঘি রূপে সামনে আসে মানুষের তৈরি লেডিবোয়ার জলাশয়। মানুষের হাতে তৈরি এই জলাশয়ের বিপুল জলরাশির তলায় চিরদিনের মত হারিয়ে যায় ডারওয়েন্ট গ্রাম।
একটি জলাশয় বানানোর প্রয়োজন ছিল সে সময়। কারণ ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি শহরে তখন জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছিল। তা এই লেডিবোয়ার জলাশয় তৈরি হওয়ার পর মিটে যায়। এরপর বিশাল জলরাশির কথাই সকলের মনে ছিল। হারিয়ে যায় তার তলায় ডুবে যাওয়া গ্রামের কথা।
এর দীর্ঘকাল পর ২০১৮ সালে ব্রিটেনে প্রবল গরম পড়ে। যার জেরে ওই জলাশয়ের জলও অনেকটা শুকিয়ে যায়। তখনই উঁকি দেয় সেই ডুবে যাওয়া গ্রাম।
বহু মানুষ সেকথা জানতে পেরে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন সেই জলের তলায় হারানো গ্রাম দেখতে। এরপর চলতি বছরে ব্রিটেনে এমন গরম পড়েছে যা আগে কখনও এ দেশ দেখেনি।
তাপপ্রবাহে জেরবার অনেক এলাকা। যার হাত এ বছর প্রায় পুরোটাই শুকিয়েছে ওই জলাশয়। আর দেখা গিয়েছে সেই গ্রাম। যার পাথরের বাড়ি, স্কুল, ব্রিজের ধ্বংসাবশেষ এখনও যেমন ছিল তেমনই রয়েছে। যা দেখতে মানুষের ফের ভিড় জমতে শুরু করেছে।