অনেকেরই হরিদ্বারের সঙ্গে লক্ষ্মণঝুলা শব্দটা একসঙ্গেই প্রায় উচ্চারিত হয়ে যায়। হিন্দু তীর্থের অন্যতম স্থান লক্ষ্মণঝুলা। গা বেয়ে বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী গঙ্গা। এখানে গঙ্গার জলে হাত ছোঁয়ানো দায়। বরফশীতল জলে প্রবল স্রোত। গঙ্গার ওপরে ঝুলছে লক্ষ্মণঝুলা সেতু। লক্ষ্মণঝুলার অন্যতম দ্রষ্টব্য ও আকর্ষণ এই সেতু। এখানে এলে এই সেতু ধরে একবার এপার ওপর সকলেই করে নেন। সেটাও পর্যটনেরই একটা অংশ। সেই সেতুই বন্ধ হয়ে গেল শুক্রবার।
পায়ে হেঁটে পারাপার বা খুব বেশি হলে ২ চাকা, এই পর্যন্ত ওই সেতুতে যাতায়াতের অনুমতি ছিল। সরু সেতু ধরে যাতায়াতের সময় নিচে গঙ্গা আর চারপাশে প্রাকৃতিক শোভা মানুষকে শিহরিত করত। সেই শিহরণ আপাতত বন্ধ। একদম আচমকাই এই সেতু বন্ধ করে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে সেতুর বেশ কিছু জায়গার অবস্থা খুব খারাপ। অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতি। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যে কোনও মানুষের বড় ক্ষতি হতে পারে। তাঁরা গঙ্গায় পড়ে যেতে পারেন।
এই দুর্ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার পথে হাঁটল প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে সেতুর এতটাই খারাপ অবস্থা হয়েছে যে মানুষ পায়ে হেঁটে গেলেও সেতুর যে কোনও অংশ ভেঙে পড়তে পারে। শুক্রবার থেকে বন্ধ করা হল সেতু। যাতে মেরামতির কাজ শুরু করা যায়। আপাতত ২ দিক থেকেই যাতায়াত বন্ধ।
গঙ্গার ওপর ঝুলন্ত এই সেতুর মাহাত্ম্যও বর্তমান। মনে করা হয় যেখানে সেতুটি রয়েছে ঠিক ওখান দিয়েই রামের ভাই লক্ষ্মণ গঙ্গা পার করেছিলেন। সেই জায়গার ওপরই তৈরি হয়েছে এই ঝুলন্ত সেতু। ১৯২৩ সালে গঙ্গার ওপর এই সেতু তৈরি করা হয়েছিল। ৯৬ বছর ধরে অগণিত পুণ্যার্থী, পর্যটক এর উপর দিয়ে যাতায়াত করেছেন। এখন কত দ্রুত এই সেতু ফের সকলের জন্য খুলে যায় সেদিকেই চেয়ে থাকবেন স্থানীয় থেকে এখানে আসা মানুষজন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা