দুর্গাপুজো শেষের ক্লান্তি ভুলে শনিবার ফের যেন নতুন উদ্যমে জেগে উঠেছে গোটা রাজ্য। কলকাতাতেও একই ছবি। রাত পোহালেই মালক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠবে বাঙালি। ভাঙা পুজো প্যান্ডেলগুলোতে ইতিমধ্যেই একটি নতুন জায়গা সাজানো হয়েছে লক্ষ্মী প্রতিমা রাখার জন্য। ডেকরেটরের লোকেরা জোরকদমে সাজাচ্ছেন লক্ষ্মী প্রতিমা বসার জায়গা। ফের প্যান্ডেলে জ্বলে উঠেছে আলো। প্রতিবছরের মত এবারও দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করছে বারোয়ারিগুলি।
অন্যদিকে বহু পরিবারেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর চল আছে। ফলে সেসব পরিবারে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কেনাকাটার তোড়জোড়। প্রতিমা কেনা থেকে ফুল, ফল কেনা। পুজোর অন্যান্য জিনিস কেনা। কলার ভেলা কেনা। তালের ফোঁপল কেনা। লক্ষ্মীপুজোয় সুন্দর করে আলপনার চল আছে অনেক পরিবারেই। এখন আবার অনেকে রঙ্গোলিতেও সাজান অঙ্গন। আজকাল আবার রেডিমেড আলপনার ছাঁচ বিক্রি হয়। কিনে এনে তার ওপর দিয়ে চালের গুঁড়ি বা তুলিতে করে রং বুলিয়ে দিলেই আলপনা রেডি। এর পাশাপাশি আবার দশকর্মার দোকানে লাইন দেওয়াও চলে। সঙ্গে বিভিন্ন পদের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচা আনাজ, চাল, ডাল, নুন, তেল। আর এই বাজার করতে গিয়েই ফের হাতে ছেঁকা খেতে হয়েছে আপামর মধ্যবিত্ত বাঙালিকে।
লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার করতে গিয়ে দাম শুনে ছেঁকা খাওয়ার অভ্যাস আছে অবশ্য। কারণ বাজারে আগুন লাগে প্রতি পুজোর আগেই। লক্ষ্মীপুজো তার ব্যতিক্রম নয়। আবার সেই ধাক্কা সামলে বাঙালি বাজার করে। বছরে একটাই দিন। তাই একটু চড়া বাজারে ধরেই এগোন বঙ্গবাসী। সেভাবেই বাজেট ঠিক করেন। লক্ষ্মী প্রতিমারও প্রতি বছরই একটু আধটু দাম বাড়ে। তবে তারমধ্যেও সামর্থ্য মেপে মানুষ পুজোর জন্য তৈরি হচ্ছেন। পরিবারের পরম্পরা ধরে রাখতে কোমর বেঁধে নেমেছেন বাজারহাটে। বাড়ি সাফ করে পুজোর প্রস্তুতি সারছেন গৃহলক্ষ্মীরাও।