মা লক্ষ্মীর নানা প্রান্তে নানা রূপ, কোথাও তাঁর ১৬ হাত, কোথাও অষ্ট রূপ
দুর্গাপুজো শেষ। তবে দুর্গাপুজো শেষ মানেই বহু বাঙালি পরিবারে লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড় শুরু। মা লক্ষ্মী কিন্তু নানা রূপে পূজিতা হন। দেশ ভেদে রূপ যায় বদলে।
দুর্গাপুজো শেষ। সেই বিষাদে প্রলেপ দিতে তারপরই লক্ষ্মীপুজো যেন এক যাদুকাঠির কাজ করে। মানুষ দুর্গাপুজো শেষের বিষাদ ভুলে লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড়ে মেতে ওঠেন। উৎসবের আনন্দ যেন ফের ফিরে আসে জীবনে। বারোয়ারির ভাঙা প্যান্ডেলেই হোক বা বাড়িতে, লক্ষ্মী প্রতিমা কেমন হয় তার একটা ধারনা সকলেরই রয়েছে।
সেই রূপেই পূজিতা হন দেবী। কিন্তু লক্ষ্মী নানা দেশে নানা রূপে পূজিতা হয়ে থাকেন। যেমন ভারত লাগোয়া নেপালে লক্ষ্মী পূজিতা হন ১৬ হাতে। সেখানে লক্ষ্মীর ১৬টি হাত। এই ১৬ হাতের লক্ষ্মী নেপালে মহালক্ষ্মী রূপে পূজিতা হন।
আবার জাপানে সৌভাগ্য, ঐশ্বর্য ও সৌন্দর্যের দেবী হিসাবে পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী। জাপানে আবার তিনি কিশিজোতেন। এমনকি জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মেও লক্ষ্মী পুজোর চল রয়েছে। জৈন ধর্মের কল্প সূত্র-তে লক্ষ্মীর রূপ বর্ণনা রয়েছে।
ভারতেরই দক্ষিণ প্রান্তে আবার লক্ষ্মী পূজিতা হন অষ্টলক্ষ্মী রূপে। এখানে লক্ষ্মীর ৮টি রূপ। প্রতিটি রূপে জীবনের এক একটি দিক যুক্ত। যেমন লক্ষ্মীর সর্বপ্রথম রূপ আদি লক্ষ্মী। সেই রূপে তিনি পূজিতা হন।
অন্যদিকে মা লক্ষ্মী কখনও বংশপরম্পরার দেবী হিসাবে সন্তানলক্ষ্মী, কখনও ধৈর্যের দেবী হিসাবে ধৈর্যলক্ষ্মী। লক্ষ্মী এখানে গজলক্ষ্মী হিসাবে পুজো পান বৃষ্টি ও উর্বরতার দেবী হিসাবে।
আবার ঐশ্বর্যের দেবী হলেন ধনলক্ষ্মী। জ্ঞানের দেবী হিসাবে বিদ্যালক্ষ্মী, শস্যের দেবী হিসাবে ধান্যলক্ষ্মী এবং বিজয়লাভের দেবী হিসাবে বিজয়লক্ষ্মী রূপেও দক্ষিণ ভারতে পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী।