বিহারের মানুষ ভাগ্যবান, তাই গঙ্গা নিজে তাঁদের ঘরের দরজায় পৌঁছেছেন। এমন সবসময় হয়না। সাধারণত মানুষকেই কষ্ট করে গঙ্গার কাছে যেতে হয়। বাড়ির দরজায় বসে সবাই গঙ্গাজল পায় না। গত সোমবার বন্যাবিধ্বস্ত বিহারের বন্যা দুর্গত মানুষজনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে একথাই বলেছিলেন বিহারে নীতীশ সরকারের অন্যতম সহচর আরজেডির লালু প্রসাদ যাদব। আপাতত সেই বক্তব্য নিয়ে প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিহারে। গঙ্গা বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় দুকূল ছাপিয়ে বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গেছে। লক্ষাধিক মানুষ বন্যা দুর্গত। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ত্রাণ পাওয়া নিয়ে প্রবল অসন্তোষ জমাট বেঁধেছে বন্যা পীড়িতদের মনে। এই ভয়ংকর বন্যায় কেন্দ্রীয় সাহায্য পেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমন এক পরিস্থিতিতে লালু প্রসাদ যাদব বন্যা পীড়িতদের নিয়ে মস্করা করছেন বলে সমালোচনা করেছেন বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী।
অন্যদিকে বিহারের লোক জনশক্তি দলের প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান লালুর সমালোচনা করে বলেন, যদি বন্যাপীড়িতদের ত্রাণ না দিতে পারো, তো এই অবস্থায় তাঁদের নিয়ে অন্তত মস্করা কোরো না। বিহারে এবারের বর্ষায় এখনও পর্যন্ত ১৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু নেপালে অতিবৃষ্টির জেরে সেই জল গঙ্গায় এসে গঙ্গার জলস্ফীতি ঘটিয়েছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে বিহারের লক্ষ লক্ষ মানুষকে।