লালুপ্রসাদ যাদবের কিডনি প্রায় বিকল, ডায়ালিসিসের পরামর্শ
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের কিডনি প্রায় বিকল হতে বসেছে। তাঁর ডায়ালিসিস শুরু করা প্রয়োজন বলেও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
রাঁচি ও পাটনা : তিনি বিহারের অবিসংবাদী নেতা। বিহারের এমন এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যাঁকে গোটা দেশ এক ডাকে চেনে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এখন তিনি জেলে।
২০১৮ সালে অবশ্য তাঁর কিডনির সমস্যা ধরা পড়ায় তাঁকে রাঁচির রাজেন্দ্র ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স-এ ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন তাঁর কিডনির হাল আরও বেহাল অবস্থায় পৌঁছে গেছে। তাই তাঁর অবিলম্বে ডায়ালিসিস শুরু করা দরকার বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের কিডনি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর চিকিৎসক উমেশ প্রসাদ জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেও তাঁর কিডনির ৩৫ শতাংশ কার্যকারিতা বজায় ছিল। তা এখন নেমে এসেছে ২৫ শতাংশে।
২টি কিডনিই এখন প্রায় বিকল হওয়ার জোগাড় হয়েছে। খুব দ্রুত লালুর ২ কিডনি কাজ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে। তাই দ্রুত ডায়ালিসিস প্রয়োজন।
ইতিমধ্যেই লালুপ্রসাদ যাদবের ডায়ালিসিস দরকার বলে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবারের এ বিষয়ে অনুমতিও চেয়ে পাঠিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে আরজেডি-র তরফে জানানো হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের শারীরিক পরিস্থিতির কথা তাঁর পরিবার জানে। তাঁর পরিবার হাসপাতালে গিয়ে লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছে আদালতের কাছে।
আদালত অনুমতি দিলেই লালুপ্রসাদের পরিবার লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক অবস্থা চাক্ষুষ করবেন।
আরজেডি-র তরফে আরও জানানো হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস নেতা সুবোধকান্ত সহায় ইতিমধ্যেই হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে এসেছেন। চিকিৎসকেরা যত দ্রুত সম্ভব ডায়ালিসিস চালু করতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত লালুপ্রসাদের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল কিছুদিন আগেই হওয়া বিহার বিধানসভা ভোটে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসাবে সামনে এসেছে। বিহারে আরজেডি এখন একক বৃহত্তম দল। তারপরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা