বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির কথা প্রায় সকলের জানা। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দেওঘর ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য কেনার জন্য সরকারি বরাদ্দ ৮৪.৫ লক্ষ টাকা বেআইনিভাবে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ছিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এদিন রাঁচি সিবিআই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন লালুপ্রসাদ। এই মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব সহ ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তবে বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র সহ ৭ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। রায় ঘোষণার পরই লালুপ্রসাদ যাদবকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। আগামী ৩ জানুয়ারি তাঁর সাজা ঘোষণা হবে। এদিন যে এমন কিছু হতে পারে তার আন্দাজ হয়তো বিহারের এই দুঁদে রাজনীতিবিদ পেয়েছিলেন। তাই সকালেই তিনি তাঁর সমর্থকদের রায় ঘোষণার পর শান্ত থাকার আবেদন জানান। যদিও এই রায়দানের পরই আরজেডি কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় লালু প্রাসাদ যাদব যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তখন পশুখাদ্য কেনার জন্য সরকারি বরাদ্দ হয় সাড়ে ন’শো কোটি টাকা। সেই টাকা স্বয়ং লালুপ্রসাদ যাদব সহ অনেক রাজনীতিবিদ ও সরকারি পদস্থ আধিকারিকরা পকেটে পোড়েন বলে অভিযোগ সামানে আসে। লোকসভার সদস্যপদ খোয়াতে হয় লালুকে। কোনও ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার হারান তিনি। মামলা যায় সিবিআইয়ের হাতে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে মোট ৫টি মামলা রয়েছে। যারমধ্যে ২০১৩ সালে একটি মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৫ কোটি টাকা বেআইনিভাবে তোলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদকে ৫ বছরের জেল ও ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। সেই সাজা কিছুদিন ভোগ করার পর সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন লালুপ্রসাদ যাদব। যা মঞ্জুরও হয়। এবার দ্বিতীয় মামলা দেওঘর ট্রেজারি থেকে টাকা তোলায় এদিন দোষী সাব্যস্ত হলেন বিহারের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব লালুপ্রসাদ যাদব। এখনও তাঁর মাথার ওপর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ৩টি মামলা ঝুলছে। যার নিষ্পত্তি হওয়া এখনও বাকি।