ভাই বিপদে রয়েছে। তাই শনিবার সকাল থেকে এক মনে ঈশ্বরকে ডেকে গিয়েছিলেন দিদি। ভাইয়ের যেন সাজা না হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বৃদ্ধার কাতর আবেদন পৌঁছায়নি আদালতের দরবারে। পৌঁছনোর কথাও নয়। যার জন্য সেই প্রার্থনা, তিনি তো ৮৪.৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত। দেওঘর ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য কেনার নামে বেআইনিভাবে টাকা তুলে নিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। গত শনিবার বিশেষ সিবিআই আদালত সেই মামলায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে সাজা শোনায়। বিচারে দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদের সাড়ে ৩ বছরের সাজা শোনান বিচারক। সাড়ে ৩ বছরের জন্য রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের ঠাঁই হয় রাঁচির বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় জেলে।
ভাইয়ের সেই পরিণতি সম্ভবত মেনে নিতে নিতে পারেননি গঙ্গোত্রী দেবী। ভাইয়ের হাজতবাসের খবর পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন ৭৫ বছরের বৃদ্ধা। ঠান্ডা লেগে কিছুদিন ধরে এমনিতেই অল্প অসুস্থ ছিলেন গঙ্গোত্রী দেবী। রবিবার ভাইয়ের হাজতবাসের শোকে তিনি মারা যান বলে দাবি তাঁর পরিবারের। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লালুপ্রসাদের দিদির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে মৃত ননদকে শেষ দেখা দেখতে ছুটে যান লালুপ্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবী। সঙ্গে যান লালুপ্রসাদের দুই ছেলেও।