নকল করাটা কোনও শিল্প নয়। নকল করে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাঁর গান হোক বা কিশোর কুমার বা মহম্মদ রফি বা মুকেশ বা আশা ভোঁসলের গান গেয়ে কেউ কিছুদিনের জন্য নাম করতে পারেন। কিন্তু বেশি দিনের জন্য নয়। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে এমনই জানালেন ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র কিংবদন্তী লতা মঙ্গেশকর।
প্রসঙ্গটি এসেছে আসলে রানু মণ্ডলকে সামনে রেখে। রাণাঘাটের স্টেশন থেকে রানুর বলিউডে পৌঁছনোর সফরটা হয়েছে সুপার ফাস্টের গতিতে। তাঁর গলার সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের গলার হুবহু মিল পাচ্ছেন অনেকেই। এমনকি হিমেশ রেশমিয়ার মত গায়ক তথা সঙ্গীত পরিচালক রানুকে দিয়ে গান রেকর্ড করিয়েছেন তাঁর আগামী সিনেমার জন্য।
এমনও রটেছিল যে সলমন খান নাকি রানু মণ্ডলকে ৫০ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন। যদিও পরে সলমন খান নিজেই জানান যে পুরোটাই মিথ্যা। তিনি এমন কিছু করেননি। তবে বলিউডে রানু মণ্ডল নামটা কিন্তু অতি অল্প সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু বলিউড কেন, সারা ভারত এমনকি ভারতের বাইরেও সোশ্যাল মিডিয়ার কৃপায় রানু এখন সেলেব্রিটি। তাঁর সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের তুলনা অনেক মহল থেকেই ছুটে আসছে।
রানু মণ্ডলের নাম না করলেও লতা মঙ্গেশকর জানিয়েছেন, তাঁর নাম ও কাজে যদি কারও ভাল হয় তাহলে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবেন। তবে ভারতের নাইটেঙ্গল লতা মঙ্গেশকর এও জানিয়েছেন, অনেক অনুষ্ঠানে ছোটদের তাঁর গান গাইতে দেখেন। দারুণ সুন্দর করে গায় তারা। কিন্তু সেখানে তাদের পরিচিতি হওয়ার পর তারা কোথায় হারিয়ে যায়? তাঁর মতে, ২টি নাম তাঁরই মনে আছে যাঁরা এসব অনুষ্ঠান থেকে নাম করেছেন। সুনিধি চৌহান ও শ্রেয়া ঘোষাল।
৯০ বছরের লতা মঙ্গেশকরের পরামর্শ প্রথমে চাইলে কেউ তাঁর গান নকল করে গাইতেই পারেন। কিন্তু এক সময়ে তাঁকে তাঁর নিজস্বতা দেখাতে হবে। তাঁকে অরিজিনাল গান গাইতে হবে। তাকে চিরকালীন করে দিতে হবে। তবেই আসবে প্রকৃত সাফল্য। তিনি বলেন, আশা ভোঁসলে যদি নিজের মত করে গান না গাইতে শুরু করতেন তবে এখনও আশা তাঁরই ছত্রছায়ায় থেকে যেতেন। আশা ভোঁসলের আলাদা কোনও পরিচিতি তৈরি হতনা। প্রসঙ্গত লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি রানু মণ্ডল গেয়ে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা