রাণাঘাট স্টেশনে বসে নিজের মনে গান গাওয়া রানু মণ্ডলের গান ইন্টারনেটে ঝড় তোলে। তাঁর গলা নাকি হুবহু লতা মঙ্গেশকরের মত। তাঁর গলা ঈশ্বর প্রদত্ত। এমন অনেক গানের বোদ্ধাও মেনে নিয়েছেন। রানুকে দিয়ে গান গাইয়েছেন গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়া। রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে গেছেন রানু মণ্ডল। তাঁর সেই উল্কার গতিতে শিখর ছোঁয়ার কাহিনি এখন গোটা দেশের জানা। সেকথা স্বাভাবিকভাবেই কানে পৌঁছেছে কিংবদন্তী লতা মঙ্গেশকরের। রানুর এই উত্থান নিয়ে বা তাঁর গলা নিয়ে লতা মঙ্গেশকরের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল সংবাদ সংস্থা আইএএনএস। সেখানে সকলের প্রিয় লতাজি যে প্রতিক্রিয়া জানান তাতে বেজায় হতাশ তাঁর ভক্তরা। কয়েকজন চটেও গেছেন তাঁর ওপর।
নকল করাটা কোনও শিল্প নয়। নকল করে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাঁর গান হোক বা কিশোর কুমার বা মহম্মদ রফি বা মুকেশ বা আশা ভোঁসলের গান গেয়ে কেউ কিছুদিনের জন্য নাম করতে পারেন। কিন্তু বেশি দিনের জন্য নয়। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে এমনই জানান ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র কিংবদন্তী লতা মঙ্গেশকর। রানু মণ্ডলের নাম না করলেও লতা মঙ্গেশকর জানান, তাঁর নাম ও কাজে যদি কারও ভাল হয় তাহলে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবেন। পাশাপাশি ৯০ বছরের লতা মঙ্গেশকরের পরামর্শ, প্রথমে চাইলে যে কেউ তাঁর গান নকল করে গাইতেই পারেন। কিন্তু এক সময়ে তাঁকে তাঁর নিজস্বতা দেখাতে হবে। তাঁকে অরিজিনাল গান গাইতে হবে।
লতা মঙ্গেশকরের এই প্রতিক্রিয়ায় খুশি নন তাঁর ভক্তরা। সোশ্যাল সাইটে তাঁরা লিখেছেন, একজন দরিদ্র স্টেশনে বসে গান করা এমন ঈশ্বরদত্ত গলার অধিকারী রানু মণ্ডলের বিষয়ে আরও একটু সহৃদয় হতে পারতেন লতা মঙ্গেশকর। অনেকেই লতা মঙ্গেশকরের ‘গলা নকল’ কথাটা ভালভাবে নিতে পারেননি। কেউ বলেছেন, লতা মঙ্গেশকরের উচিত ছিল রানু মণ্ডলকে উৎসাহ দেওয়া। সাহায্য করা। কেউ মনে করছেন লতাজি এতটা কঠোর না হলেই পারতেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা