৯০ বছর পূর্ণ করলেন ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র লতা মঙ্গেশকর। একজন জীবন্ত কিংবদন্তী তিনি। তাঁকে তাঁর ৯০ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ রাষ্ট্রপতি। অগুন্তি গান গেয়েছেন তিনি। তাঁর হিট গানের সংখ্যা গুনে বলা মুশকিল। সেই লতা মঙ্গেশকরের নিজের কাছে তাঁর গাওয়া সেরা গানগুলি কি কি? এই প্রশ্নের উত্তরে লতা মঙ্গেশকর জানিয়েছেন তাঁর নাকি পছন্দের তালিকা বদলাতেই থাকে।
তাঁর পছন্দের গানের তালিকা বদলাতে থাকলেও তাঁর গাওয়া ৫টি গান তলা মঙ্গেশকর বদলাতে চান না। তাঁর চোখে জীবনে গাওয়া তাঁর সেরা ৫টি গান এগুলি। লতা মঙ্গেশকর তো অনেক গানই গেয়েছেন। তাঁর অনেক গানই মানুষকে মুগ্ধ করেছে। এখনও সেসব গান অমর হয়ে আছে। কিন্তু লতা মঙ্গেশকর নিজে কোন ৫টি গানকে সবচেয়ে পছন্দ করেন তা অবশ্যই মানুষের কৌতূহলের বিষয়।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লতা মঙ্গেশকর জানিয়েছেন তাঁর পছন্দের সেরা ৫-এর তালিকা। যার মধ্যে রয়েছে, ‘রাজিয়া সুলতান’ সিনেমায় তাঁর গাওয়া ‘খোয়াব বনকর কোই আয়েগি তো নিন্দ আয়েগি’। খৈয়ামের সুর দেওয়া এই গানটি সিনেমার যেখানে গিয়েছিল সেখানে গানটি অতি সুন্দরভাবে খাপ খায়। খৈয়ামের কাছে গানের সুরটি কেমন হবে অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে তা একদম পরিস্কার ছিল বলে জানিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।
তাঁর তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছে ‘বাহারো কে সপনে’ সিনেমায় ‘চুনরি সামাল গোরি’ গানটি। লতা মঙ্গেশকর মনে করেন এই গানটি ছিল অন্যতম শক্ত গান। গাওয়া খুবই কঠিন। রাহুল দেব বর্মনের সুরে এই গানটি তাঁর এখনও পছন্দের। তাঁর পছন্দের ৩ নম্বরে রয়েছে ‘তরঙ্গ’ সিনেমা থেকে ‘বরষে ঘন সারি রাত সঙ্গ শো যাও’ গানটি। বনরাজ ভাটিয়ার সুরে গানটি এখনও তাঁর বড় প্রিয়। কারণ এই গানটি ছিল তাঁর কাছে খুবই চ্যালেঞ্জিং। একে সুর কঠিন। তার ওপর গানের কথা ছিল ছন্দ ছাড়া। বয়ে চলা লেখাকে গানের ছন্দে আনা ছিল একটা মস্ত চ্যালেঞ্জ।
তাঁর পছন্দের ৪ নম্বরে জায়গা পেয়েছে বাসু ভট্টাচার্যের সিনেমা ‘ডাকু’-র ‘তু আজ আপনি হাত সে কুছ ভি গতি সওয়ার দে’। শ্যামজি-ঘনশ্যামজি-র সুর দেওয়া এই গানে এক দরিদ্র, দুখী মা তাঁর সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন। ৫ নম্বরে রয়েছে তাঁর পছন্দের ‘রাজা বেটা শোয়া মেরা’ গানটি। ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ সিনেমা-র এই গানটি তাঁর ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের সুর দেওয়া। আর তাঁর মতে তাঁর ভাইয়ের দেওয়া কঠিন সুরগুলো লাগাতে তাঁর রীতিমত আতঙ্ক হত। খুব কঠিন গান ছিল এটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা