কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর এখনও হাসপাতালেই রয়েছেন। তবে অনেকটা ভাল আছেন। সুস্থ হয়ে উঠছেন। এখনও তাঁর ভাইরাল চেস্ট কনজেশন রয়েছে। ফলে চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। যদিও চিকিৎসকেরা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি গায়িকা হওয়ার সুবাদে তাঁর ফুসফুসের ক্ষমতা সাধারণের চেয়ে বেশি। এদিকে লতা মঙ্গেশকর হাসপাতালে ভর্তির পর সোশ্যাল সাইটে যেভাবে নানা ধরনের খবর ছড়াচ্ছে তা মাথায় রেখে সঠিক খবর তাঁর ভক্ত তথা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে লতা মঙ্গেশকরের পরিবারের তরফ থেকেই বিবৃতি জারি করা হচ্ছে। প্রতিদিনের আপডেট তাঁরাই বিবৃতি আকারে প্রকাশ করছেন। যা থেকে সঠিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে জানতে পারছেন সাধারণ মানুষ।
গত রবিবার রাতেই বাড়িতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাত দেড়টা নাগাদ তাঁকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে পরীক্ষার পর আইসিইউ-তে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এদিকে লতা মঙ্গেশকর হাসপাতালে শুনে অনেকেই দ্রুত ছুটে আসেন সেখানে। খবর নেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয় লতা মঙ্গেশকরের অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে নিউমোনিয়া গ্রাস করেছে। তাঁর বাম ভেন্ট্রিকুলার কাজ করছে না। তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ৯০ বছর পূর্ণ করেছেন লতা মঙ্গেশকর। ভারতের নাইটিঙ্গেল নামে খ্যাত লতা মঙ্গেশকর দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন পান ২০০১ সালে। এছাড়া তিনি দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছেন। পেয়েছেন বিদেশ থেকে অনেক সম্মান। খ্যাতির শিখর ছোঁয়া এই বিরল কণ্ঠের অধিকারী ১৯৭৪ সালে গিনেস বুকেও নাম তোলেন। সবচেয়ে বেশি গান গাওয়ার জন্য সেই সময়ে তিনি গিনেস বুকে নাম তোলার পরও তাঁর বহু কালজয়ী গান রয়েছে। যা চিরকাল অমর হয়ে থাকবে। লতা মঙ্গেশকরের সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর পরিবারে তরফে তাঁকে অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করা এক যোদ্ধা বলে বর্ণনা করা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা