দেশেই রয়েছে সূর্পণখা মন্দির, এখানেই সূর্পণখার নাক কাটেন লক্ষ্মণ
রামায়ণের অন্যতম এক অংশ হল সূর্পণখার নাককাটা। রাবণের বোন সূর্পণখার নাক কেটে দেন লক্ষ্মণ। এ ঘটনা যেখানে ঘটে সেখানে এখন ভক্তের ঢল নামে।
রামায়ণের কয়েকটি এমন ঘটনা রয়েছে যা ছোট থেকেই মানুষের মনে ছাপ রেখে যায়। যার একটি অবশ্যই সূর্পণখার নাককাটা। রাবণের বোন সূর্পণখার নাককাটার কাহিনি বইতে পড়ে বা বড়দের মুখে শুনে ছোটরাও অবাক হয়ে যায়।
এই ভারতেই এক জায়গা রয়েছে যেখানে সূর্পণখার নাক কেটে দিয়েছিলেন রামানুজ লক্ষ্মণ। রামায়ণের সেই কাহিনি মানুষকে টেনে আনে এই তপোবনে। মহারাষ্ট্রের নাসিকে রয়েছে এই তপোবন।
সেই তপোবনে রয়েছে লক্ষ্মণ মন্দির। এই লক্ষ্মণ মন্দিরে গেলে এক জায়গায় লক্ষ্মণকে ধ্যানস্থ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এই মন্দিরের একটি অংশেই রয়েছে সূর্পণখা মন্দির। সেখানে লক্ষ্মণের একটি পূর্ণ মূর্তি রয়েছে যেখানে তিনি রণংদেহী রূপে রয়েছেন।
সামনে শায়িত সূর্পণখার অতিকায় একটি মূর্তি। যেহেতু সূর্পণখা রাক্ষসী ছিলেন বলে ধরা হয় তাই তাঁর চেহারা অতিকায় এবং ভয়ংকর। রাবণের বোন সূর্পণখার নাক কেটে তাঁকে শাস্তি দেন লক্ষ্মণ। সেটাই ধরা পড়ে এখানে।
মনে করা হয় রামায়ণে এই জায়গাতেই লক্ষ্মণ সূর্পণখার নাক কেটে দিয়েছিলেন। লক্ষ্মণ মন্দিরের মধ্যেই এই অংশকে বলা হয় সূর্পণখা মন্দির। যা দেখতে মানুষের ঢল নামে।
তপোবন স্থানটি নাসিকের যে অংশে রয়েছে সেই স্থান এখন আর জঙ্গলাকীর্ণ নয়। বরং সেখানে একাধিক বাগান তৈরি করে তা সাজিয়ে তুলেছে পুরসভা।
বহু মানুষ নাসিকে এলে গোদাবরীর তীরে এই লক্ষ্মণ মন্দিরে হাজির হন। ঘুরে দেখেন চারধার। আর অবশ্যই হাজির হন সূর্পণখা মন্দিরের সামনে। একবার চর্মচক্ষে উপভোগ করেন রামায়ণের কাহিনিতে পড়া সূর্পণখার নাককাটার সেই কাহিনির মূল ভূমিকে।