এ দেশে ২ বছরের বেশি সাজা হলে পাশের দেশে গিয়ে জেল খাটতে হয় দোষীকে
সব দেশের নিজস্ব আইন রয়েছে। এই দেশে ২ বছরের বেশি যদি কারও সাজা ঘোষণা হয়, তাহলে তাকে অন্য দেশে পাঠানো হয় জেল খাটার জন্য।
একটি দেশ তার নিজস্ব আইন মেনে চলে। সেখানে অপরাধে অভিযুক্ত হলে বিচার হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে সাজাও হয়। অনেক ক্ষেত্রে সে সাজার সময়কাল ২ বছরের বেশি হয়।
পৃথিবীতে এমন একটি দেশ রয়েছে যেখানে কারও ২ বছরের বেশি সময় কারাবাসের সাজা ঘোষণা করে তাকে আর দেশে রাখা হয়না। পাশের দেশের জেলে জেল খাটতে পাঠানো হয়।
এটা কোনও আইনি বিধান নয়। বরং অপারগতা। কারণ এ দেশে যে কারাগার রয়েছে সেখানে ২ বছরের বেশি সময় কারাবাসের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। নেই পরিকাঠামো।
ফলে এ দেশে কারও ২ বছরের কম সাজা হলে তখনই কেবল তাকে দেশের কারাগারেই কারাবাস করতে হয়। ২ বছরের বেশি মানেই প্রতিবেশি দেশের জেলে কারাবাস কাটিয়ে ফিরতে হয়।
দেশটির নাম লিশটেনস্টাইন। সুইৎজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার মাঝে অবস্থিত এই দেশটিতে রয়েছে মাত্র ১টিই সংশোধনাগার। সেটিও যথেষ্ট ছোট। তাও খুব বেশি হলে ২০ জন অপরাধীকে সেখানে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
তাদেরই এখানে রাখা হয় যাদের শাস্তির সময়কাল ২ বছরের কম। ২ বছরের বেশি সময়ের কারাবাসের শাস্তি হলে তাকে আর দেশের ওই জেলে রাখা সম্ভব হয়না।
তাই বাধ্য হয়েই তাকে অস্ট্রিয়ার জেলে পাঠানো হয় কারাবাসের সাজা কাটতে। লিশটেনস্টাইন দেশটি পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। যাদের একটি বিমানবন্দর পর্যন্ত নেই। অপরাধও যে খুব বেশি হয় তা নয়।