শুকনো ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে দামি ক্রিম নয়, ঘরোয়া জিনিসই যথেষ্ট
হেমন্ত যত গড়াচ্ছে ততই ত্বকের শুষ্কতা পেয়ে বসছে। তার ওপর যাঁদের এমনিতেই শুষ্ক ত্বক, তাঁদের আরও সমস্যা। এথেকে মুক্তির উপায় রয়েছে ঘরের মামুলি জিনিসপত্রেই।
খাতায় কলমে শীতকাল আসতে দেরি আছে। তবে হেমন্ত যত গড়াতে থাকে ত্বকে শুষ্কতার টান অনুভব হতে থাকে। ফলে ত্বক ফেটে যায় বা ত্বকের দীপ্তি চলে যায়। এসময় তাই ত্বকের বেশি যত্নের দরকার।
সবসময় হাতের কাছে দামি ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার থাকবে এমনটা নাও হতে পারে। চাইলেই যে অনেক টাকা খরচ করে দামি ক্রিম সকলের পক্ষে কিনে ফেলা সম্ভব এমনটাও নয়। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া জিনিস দিয়েও ত্বকের শুষ্কতা দূর করে তাকে উজ্জ্বল সুন্দর রাখা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, প্রতিদিন ত্বকে নারকেল তেল লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়। ত্বক হয়ে ওঠে কোমল, উজ্জ্বল। ত্বকের শুষ্কতা একেবারে চলে যায়।
তাই শীতকালে নিয়ম করে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। নারকেল তেলের সাথে চিনি বা হলুদ মিশিয়ে ত্বকে লাগালে সূর্যালোকের জন্য তৈরি হওয়া কালচে ভাব উঠে যায়। ত্বকের কালো ছোপ তুলতেও এটা সাহায্য করে।
শীতের সময়ের আর এক সমস্যা ঠোঁট ফাটা। এ ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে টিন্টস মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে। শুধু ঠোঁট নয়, এটা গালেও কার্যকরী।
ঘরে তৈরি ফেস অয়েল এখন খুব জনপ্রিয় হয়েছে। অ্যাভোকাডো, গোলাপ এবং ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে ফেস অয়েল তৈরি করে প্রাত্যহিকভাবে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। মেকআপের সময় তা ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ থাকে।
ফেস মিস্ট ত্বককে ঝলমলে রাখতে ও ত্বকের ভিজেভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। গোলাপ মিস্ট একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিনজেন্ট। এছাড়া শশার মিস্ট, গ্রিনটি মিস্ট, অ্যালোভেরা মিস্টও ব্যাবহার করা যেতে পারে।
দই এবং ১ চিমটি হলুদের সাথে মধু ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগানো যেতে পারে। এতে সূর্যের পোড়াভাব দূর হয়। অবাঞ্ছিত শুষ্কতা থেকেও ত্বককে রক্ষা করতে কার্যকরী এই মিশ্রণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা