চোরের ঠেঙানি সহ্য করতে পারলে তবেই হয় বিয়ে, না হলে বিয়ে বাতিল
চোরের ঠেঙানি সহ্য করতে হবে। এ মারটাও হয় বিশেষ কিছু মানুষের হাতে। তাঁরা এসে ঠেঙাবেন হবু পাত্রকে। তারপর অনেক কিছু বিচার করে তবে মিলবে পাত্রী।
এখানে কোনও পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন হয়না। পাত্রের বাড়ির দাপটও থাকেনা। মেয়ের বাড়িকে পাত্রপক্ষের এটা চাই, ওঠা চাই দাবিও পূরণ করতে হয়না। বরং যা হয় তা একেবারেই উলটপুরাণ।
এখানে কোনও ছেলে বিয়ে করতে চাইলে তাঁকে এক কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। তাঁকে সহ্য করতে হয় চোরের ঠেঙানি। বেদম প্রহার যাকে বলে।
আর এই বেদম প্রহারটা দেওয়ার জন্য কয়েকজনকে বেছে নেওয়া হয়। যাঁরা সমাজের বয়স্ক মানুষ। এঁরাই বিয়ে করতে ইচ্ছুক পাত্রকে ধরে মারতে থাকেন। এটা কোনও শাস্তি নয়। এটা ওই জনজাতির সনাতনি প্রথা।
এভাবেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে এসেছে। শর্ত হল এই বৃদ্ধদের বেদম প্রহার সহ্য করতে হবে ওই যুবককে। সহ্য করেও যদি তিনি সুস্থ থাকেন, কষ্টটা হজম করে নিতে পারেন, তবেই পাত্রীকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিয়ে দেওয়া হয় ২ জনের। তবে শুধু মার খেয়েই যে বিয়ের লাইসেন্স মেলে তেমনটাও নয়। সেইসঙ্গে ট্যাঁকের জোরও দেখাতে হয়।
মারধর খেয়ে সব সহ্য করে বিয়ের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও ওই বিয়েতে ইচ্ছুক যুবকের এখানেই পরীক্ষা শেষ হয়না। মেয়ের বাড়ি থেকে তাঁর কাছে কুগাল নামে একটি পণ নেওয়া হয়।
এখানে কিন্তু পুরুষদের বিয়ে করতে গেলে কন্যাপক্ষকে পণ দিতে হয়। এই মার খাওয়া এবং পণ দেওয়ার পর বিয়ে করতে পারার রীতি প্রচলিত রয়েছে আফ্রিকার ফুলানি জনজাতির মধ্যে।
এই জনজাতি বিয়ের আগে পাত্র পেটানোর রীতিকে বলে ‘শারো’। প্রসঙ্গত ফুলানি জনজাতির মানুষজন আফ্রিকা জুড়েই ছড়িয়ে আছেন। তবে ফুলানিদের সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্রগুলিতে।