একেই বলে জামাই আদর, ৩৭৯ রকম খাবার সাজানো হল জামাইয়ের সামনে
জামাইকে ডেকে খাওয়ানোর রেওয়াজ নতুন নয়। সেখানে নানা পদ সাজিয়ে খেতে দেওয়াটাই অন্যতম। এক্ষেত্রে জামাইয়ের সামনে সাজানো হল ৩৭৯টি খাবার।
জামাই আদর সম্বন্ধে কমবেশি সকলেই পরিচিত। তা বলে এমন রেকর্ড গড়া জামাই আদর কেউ দেখেছেন কি! তাও বিয়ে এখনও হয়নি। হতে চলেছে। তার আগেই পড়েছে মকরসংক্রান্তি।
সেই দিনকে সামনে রেখে হবু জামাই সহ ডাক পড়ে জামাইয়ের বাড়ির অন্যদেরও। সকলেই হাজির হন। হবু জামাইকে মকরসংক্রান্তি উপলক্ষে খাওয়ানোটাই ছিল উদ্দেশ্য।
কনের বাড়ির সকলেই সেজন্য অভিনব এক পথ নেন। জামাইকে আদর করে খেতে বসানো হয়। তারপর তাঁর সামনে পাত সাজিয়ে দেওয়া হয়।
সেই সাজানো খাবারে যে কি কি রয়েছে তাই ঠাওর করে উঠতে পারেননি হবু জামাই। কার্যত তাল হারিয়ে ফেলেন তিনি। পাত না বলে এক টেবিল খাবার বলাই ভাল।
১টা টেবিল কেন একাধিক টেবিল লাগে পুরো খাবার সাজাতে। পরে দেখা যায় জামাইকে খাওয়াতে সাজানো হয় ৩৭৯ রকম খাবার!
যদিও সেই ৩৭৯ রকম খাবারের মধ্যে আমিষ একটাও খাবার ছিলনা। পুরোটাই নিরামিষ। যাতে ছিল ভাত, নানা রকম তরকারি, বিরিয়ানি, নানা রকম মিষ্টি, এমনকি কেক, বিস্কুট পর্যন্ত।
সেই সঙ্গে দেওয়া হয় কোল্ড ড্রিংকস এবং হট ড্রিংকস। হবু জামাইকে সামনে রেখেই এই আয়োজন করেন কনেপক্ষ। তবে নিমন্ত্রিত ছিলেন জামাইয়ের সঙ্গে জামাইয়ের পরিবারের লোকজনও। ২ পরিবার মিলে এই এলাহি ভোজনে অংশ নেন। যা কার্যত খবর হতে সময় নেয়নি।
এমন এক রাজকীয় আয়োজনের ব্যবস্থা হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের ইলুরু জেলার একটি পরিবারে। প্রসঙ্গত মকরসংক্রান্তি অন্ধ্রপ্রদেশে ধুমধাম করে পালিত হয়। সেখানে মকরসংক্রান্তিকে বলা হয় পেড্ডা পান্দুগা উৎসব।
এই উৎসব সেখানকার জামাইষষ্ঠীও বটে। ওই দিন প্রত্যেক পরিবারে জামাইকে ডেকে খাওয়ানোর রীতি বহু পুরনো। এক্ষেত্রে বিয়ে হওয়ার আগেই জামাই যে ভোজন আদর পেলেন তাতে তিনি বিয়ের পর কি পেতে চলেছেন তা অনুমেয় বলে মনে করছেন অনেকে।