চায়ের ভাঁড়কে স্বাস্থ্যকর মুখরোচকে পরিণত করলেন একদল কৃষক
শরীরকে চাঙ্গা করে নিতে চায়ের জুড়ি নেই। চা পান করে চায়ের ভাঁড় ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু চায়ের ভাঁড়কে স্বাস্থ্যকর বানিয়ে ফেললেন একদল কৃষক।
বাড়িতে থাকলে এক কাপ চা, অফিসে বা কর্মস্থলে এক কাপ চা, এমনকি রাস্তায় চলার ফাঁকে এক ভাঁড় চা, প্রতিদিন ভারতের আমজনতার শরীর মনকে নতুন করে তরতাজা করে নিতে সাহায্য করে।
রাস্তায় চলার ফাঁকে অলিগলিতে রয়েছে চায়ের স্টল। সেখানে দাঁড়িয়ে এক ভাঁড় চা তো সকলেই পান করেন। চা পান করে ভাঁড় ফেলে দেন পাশের ডাস্টবিনে।
কিন্তু একদল কৃষক সেই ভাঁড়কেই এবার মুখরোচক এবং স্বাস্থ্যকর করে তুললেন। যা চা পান করার পর নিশ্চিন্তে চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারবেন সকলে। বিস্কুট বা সমতুল স্ন্যাক্সের কাজ করবে এই ভাঁড়।
উত্তরপ্রদেশের একদল কৃষক রাগি এবং ভুট্টার আটা দিয়ে এক বিশেষ ধরনের কাপ বা ভাঁড় তৈরি করেছেন। যাকে ‘কুলহড়’ বা চায়ের ভাঁড়ই বলছেন তাঁরা।
এই ভাঁড়ে চা পান করে তারপর ভাঁড় না ফেলে চিবিয়ে খেয়ে নিচ্ছেন সকলে। প্রাথমিকভাবে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার একদল কৃষক এই কাপ বানিয়ে আশপাশের গ্রামগুলির চায়ের দোকানে দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু দ্রুত তার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এখন তো বারাণসী, প্রয়াগরাজ সহ অন্য শহর থেকেও এমন ভাঁড়ের যোগান দেওয়ার জন্য চাপ আসছে। চাহিদা মিটিয়ে ওঠাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা এখন যে যন্ত্র এই কাপ তৈরিতে ব্যবহার করছেন তাতে ২৪টি কাপ একসঙ্গে বার হয়।
শুনে মনে হতেই পারে এই খাওয়ার ভাঁড়ের দাম অনেক হবে। কিন্তু এর দাম পড়ছে ৫ টাকা। এই ভাঁড়ে চা নিলে গুনতে হচ্ছে ১০ টাকা। তাতে চা পানও হচ্ছে। ভাঁড়ও খেয়ে নেওয়া হচ্ছে।
যা স্বাস্থ্যকরের পাশাপাশি সুস্বাদুও। ফলে এর চাহিদা হুহু করে চড়ছে। এতে মাটির চায়ের ভাঁড় যে দূষণ তৈরি হয় তাও হচ্ছেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা