৫ দিন গ্রামের কোনও মহিলা পোশাক পরেননা, রীতি মেনে থাকেন সম্পূর্ণ পোশাকহীন
এমন এক গ্রাম এ দেশেই রয়েছে। যেখানে মহিলারা পোশাকহীন অবস্থায় টানা ৫ দিন কাটান। এ প্রথার পিছনে রয়েছে এক প্রাচীন কাহিনিও।
প্রতিবছর শ্রাবণমাসের ৫ দিন এ গ্রামে উৎসব পালিত হয়। উৎসব বলা হলেও আদপে কঠোর নিয়মে জীবনযাপন করেন সকলে। এ গ্রামের মহিলারা পোশাক পরেননা এই ৫ দিনে। সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় কাটান।
ফলে তাঁরা বাড়ির বাইরে বার হতে পারেননা। বাড়ির মধ্যেই কাটান পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। এই ৫ দিনে তাঁরা কিন্তু স্বামীর সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে পারেননা। তাঁরা কাছাকাছি আসতে পারবেননা। এমনকি স্বামী স্ত্রী একে অপরকে দেখে মুচকি হাসতেও পারেননা।
পুরুষদের জন্যও রয়েছে নিয়ম। তাঁরা এই ৫ দিনে মদ ছুঁতে পারেননা, মাংস খেতে পারেননা। এই গ্রাম থেকে ৫ দিন কেউ বাইরে যান না। গ্রামের মধ্যেও বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারেননা। হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলার এই পিনি গ্রামে কিন্তু এখনও এই রীতি পালিত হয়ে আসছে।
কথিত আছে এই গ্রামে প্রাচীনকালে এক রাক্ষসের উপদ্রব হয়। সে সুন্দর পোশাক পরা নারীদের দেখলেই তুলে নিয়ে যেত। সেই রাক্ষসকে ভাদ্রমাসের প্রথম দিনে দেবী লাহু গোন্দ হত্যা করে গ্রামকে এই রাক্ষসের হাত থেকে মুক্ত করেন।
সেই থেকে এই ৫ দিন দেবীর পুজো হয়। এই সময় গ্রামের সব মহিলা নগ্ন হয়ে থাকেন। তবে সময়ের হাত ধরে নতুন প্রজন্মের কয়েকজন মহিলা বাকি দেহ নগ্ন রেখে পাতলা উলের পোশাকে কেবল গোপনাঙ্গটুকু কোনওক্রমে ঢেকে রাখেন।
তবে গ্রামের অধিকাংশ মহিলাই এখনও বাড়িতে নগ্ন হয়েই কাটান। এভাবেই শতাব্দী প্রাচীন এই প্রথা চলে আসছে এই পিনি গ্রামে।