Lifestyle

এ গ্রামে জুতো পরে ঢোকা নিষেধ, বাইরের লোক ছুঁলে স্নান করেন গ্রামবাসীরা

এ দেশেই এমনও এক গ্রাম যে রয়েছে সেটা অনেককে অবাক করতে পারে। এ গ্রামের নিয়ম শুনলে অনেকেই আঁতকে উঠতে পারেন।

এ গ্রামের মানুষ জুতো পরেননা। ছোট্ট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ, কেউই জীবনে কখনও জুতোয় পা গলাননি। জুতো পরলে কেমন লাগে তাও অনেকের জানা নেই। প্রয়োজনে মাইলের পর মাইল তাঁরা খালি পায়েই হেঁটে যাতায়াত করেন।

গ্রামের প্রতিষ্ঠিত দেবতা ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী। দেবতাকে সম্মান জানিয়েই গ্রামবাসীরা জুতো পায়ে দেন না। এমনকি বাইরের কেউ জুতো পরে এ গ্রামে প্রবেশ করতেও পারেননা। যদি ঢুকতে হয় তাহলে গ্রামের বাইরে জুতো খুলে প্রবেশ করতে হয়।


তবে এ গ্রামে বাইরের মানুষকে বিশেষ ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়না। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে, এই গ্রামের মানুষ গ্রাম থেকে বাইরে বিশেষ বার হন না। কোনও কারণে বার হতে হলে তাঁরা বাইরের কাউকে ছোঁন না।

আর যদি ভিড়ের কারণে কোনওভাবে ছোঁয়া লেগে যায় তাহলে আর রক্ষে নেই। স্নান করে কাচা জামাকাপড় পরে তবেই বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন তাঁরা। এমনকি গ্রামের বাইরে কেউ গেলে কারও সঙ্গে ছোঁয়া লাগুক বা না লাগুক এই গ্রামের মানুষজন স্নান করে তবেই ঘরে ঢোকেন।


অন্ধ্রপ্রদেশের এই গ্রামটির নাম ভেমানা ইন্দলু। তিরুপতি শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম এই একবিংশ শতাব্দীতেও কার্যত নিজেদের বাইরের জগত থেকে আলাদা করে রেখেছে।

গ্রামের মানুষজন এখনও বিশ্বাস করেন তাঁদের পূর্বপুরুষরা যা শিখিয়ে গেছেন তা মেনে চলা উচিত। তাই তাঁরা এখনও নিজেদের এভাবে সবার থেকে দূরে রেখেছেন। এমনকি কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়না।

গ্রামের চাষাবাদের সঙ্গেই অধিকাংশ মানুষ জড়িয়ে আছেন। পড়াশোনার পাট প্রায় নেই। তবে কয়েকজন লেখাপড়া করেন। গ্রামে প্রচার চালিয়ে তাঁদের এই নিজেদের আলাদা করে রাখার ধারনা থেকে বাইরে বার করে আনার চেষ্টা শুরু করেছে প্রশাসন।

Show Full Article

One Comment

  1. I didn’t know. I was very surprised to know. My hundred million salutations to Balaji Maharaj. Be of help to all, and may all be blessed. The only wish of all of us is the development of the entire nation and the world.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button