নাচের মধ্যে দিয়ে অসুখ সারায় এরা, সারারাত চলে সম্মোহন নৃত্য
অসুখ সারাতে চিকিৎসক লাগে। ওষুধ লাগে। এঁদের লাগে নাচ। যা তাঁদের শক্তি দেয় একাধিক মানুষকে সুস্থ করে তোলার। এই সম্মোহন নাচ চলেও রাতভর।
অসুখ করলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। তাঁর পরামর্শে ওষুধ খেতে হয়। জঙ্গলের মধ্যে বসবাসকারী জনজাতিদের মধ্যে বৈদ্য থাকেন। তিনি গাছগাছড়া দিয়ে চিকিৎসা করেন। যাকে পরিভাষায় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলা হয়। অনেকে বলেন নেচারোথেরাপি। কিন্তু সেসব গালভরা নামের তোয়াক্কা এক জনজাতি করেনা। বরং তারা বিশ্বাস রাখে নাচের ওপর।
এমন নাচ যা আগুনের চারপাশে নাচা হয়। আগুনের চারধারে নাচতে নাচতে এক সময় সম্মোহিত হয়ে পড়েন। প্রধানত যাঁরা ওই জনজাতির বৈদ্য তাঁরা নাচের নেতৃত্ব দেন। সঙ্গে থাকেন বয়স্করা।
তাঁদের পিছনে পুরো গ্রাম আগুনের ধারে নাচতে থাকে। একসময় এমন আসে যখন বৈদ্যের ঘোর আসে। তিনি সম্মোহিত হয়ে পড়েন।
বোতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া এবং অ্যাঙ্গোলা, এই ৪ দেশের স্যান জনজাতির মধ্যে এই নাচের মধ্যে দিয়ে পুরো গ্রামের অসুখ সারানোর প্রথা প্রচলিত। নাচকে তাঁরা এক পবিত্র শক্তি বলে মনে করেন।
স্যান জনজাতির বৈদ্যরা সম্মোহিত অবস্থায় মন্ত্রের মত উচ্চারণ করতে থাকেন। এভাবে সম্মোহিত হওয়া এবং মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে তাঁরা এক অন্য জগতে পৌঁছে যান।
তাঁরা অনেক সময় অক্লেশে আগুনের ওপর দিয়ে হেঁটেও চলে যান। এভাবে তাঁরা শুধু পুরো গ্রামের মানুষের অসুখ সারানোর বন্দোবস্তই করেন না, সেই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে ঈর্ষা, রাগ বা ঝগড়ার মত অভ্যাসগুলিকেও মুছে দেওয়ার পথ খুলে দেন।