নীল চায়ের হাজারো উপকার, কি থেকে তৈরি হয় এই নীল চা
চা তো অনেকেই পান করেন। কিন্তু তার রং নীল হয়না। তবে এখন নীল চা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নীল চায়ের গুণেই মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছেন তার দিকে।
নীল চা বিষয়টি ভাবতে বা মেনে নিতে একটু তো ধাক্কা লাগতেই পারে। কিন্তু চেনা চায়ের রং বদলে গেলে যে তা খারাপ হয় তা তো নাও হতে পারে। এখন তো হার্বাল চা বা ভেষজ চায়ের জনপ্রিয়তাও উর্দ্ধমুখী। এই নীল চা তারই অঙ্গ।
নীল চায়ের রং নীল আর গুণ হাজারো। নীল হয় কীভাবে চায়ের রং? এটা বিশ্বের অন্য প্রান্তের মানুষের জন্য একটু অচেনা হলেও ভারত বা তার আশপাশের দেশগুলির জন্য একটু বেশিই চেনা।
ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার অত্যন্ত মামুলি ফুল অপরাজিতা। প্রতিদিনের পুজোয় বা বিভিন্ন মন্দিরে অপরাজিতা ফুল হামেশাই নজর কাড়ে। অপরাজিতা ফুল যত্রতত্র পাওয়াও যায়। ফলে অপরাজিতা পাওয়া এ অঞ্চলে কঠিন কাজ নয়।
এই অপরাজিতার পাপড়ি শুকনো করে তৈরি হয় এই নীল চায়ের পাতা। যা দিয়ে চা বানালে তার নীল রং বেশ চমক দেয়। এই নীল চা আদা, দারচিনি, লেবু ঘাস বা পুদিনা পাতা দিয়েও পান করা যায়। তাতে এটির স্বাদ বৃদ্ধি হয়।
অ্যান্থোসায়ানিন নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডান্ট পিগমেন্ট থাকে এই অপরাজিতার পাপড়িতে। যা শরীরের জন্য ভাল বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।
মনে করা হয় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই নীল চা কার্যকরী। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও ভাল কাজ করে এটি। মেদ ঝরাতেও এর জুড়ি নেই বলে মনে করা হয়। এমনকি এটাও মনে করা হয় যে এই চা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সিদ্ধহস্ত।
এখনও এই নীল চায়ের চল তৈরি সেভাবে হয়নি ঠিকই, তবে অপরাজিতার পাপড়িকে বিশেষ পদ্ধতিতে শুকিয়ে তা দিয়ে চা তৈরি করা বৃহৎ আকারে শুরু হলে তা প্রচারেরও আলো পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।