বিকিনি তো শুনেছেন, এবার গরমে মহিলাদের টানছে ফেসকিনি
বিকিনি সম্বন্ধে কমবেশি ধারনা প্রায় সকলেরই আছে। কিন্তু ফেসকিনি নামটা এখনও ততটা পরিচিতি পায়নি। কিন্তু ফেসকিনির জনপ্রিয়তা হুহু করে বাড়ছে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব যে কি ভয়ংকর হতে পারে তা টের পাচ্ছেন বিশ্ববাসী। ভারত গ্রীষ্মে এবার কার্যত অচেনা অসহ্য গরমে পুড়েছে। ইউরোপে এখন গরম মাত্রা ছাড়া। চিন, কোরিয়া, জাপানের মত দেশগুলিও ভয়ংকর দাবদাহে জ্বলছে। এই পরিস্থিতিতে ক্রমে বাড়ছে ফেসকিনি-র চাহিদা। গরম থেকে বাঁচতেই এই ফেসকিনি কিনছেন অনেকে। মহিলারাই এর প্রধান ক্রেতা।
গরমে গরম তো সহ্য করতে হয়ই, সেই সঙ্গে প্রবল রোদে চামড়ায় কালো একটা পোড়া দাগ তৈরি হয়। এই অসহ্য রোদ গায়ে লাগলে শরীরে সরাসরি অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবও পড়ে। যা ক্ষতিকর।
এসব থেকে নিজেদের বাঁচাতে সব বয়সের মহিলাদের মধ্যেই ফেসকিনির চাহিদা বাড়ছে। এটা এক ধরনের মুখোশের মত। যা মুখ, ঘাড়, গলা ও কাঁধের একটা অংশকে রোদ থেকে রক্ষা করে। যাতে এটি পরার পর দেখতে অসুবিধা না হয় বা শ্বাস নিতে সমস্যা না হয়, সেজন্য চোখ ও নাকের কাছে ফুটো করা থাকে। এর বাইরে পুরোটাই ঢাকা।
ফেসকিনি মুখের জেল্লাও এই গরমেও দিব্যি ধরে রাখতে সাহায্য করছে। মুখের ফর্সা ভাব কালো হয়ে যেতে দিচ্ছেনা। কোনও কিছু মাখার দরকার পড়ছে না। কেবল মুখে গলিয়ে নিলেই হল।
চিনে এই ফেসকিনির চল হুহু করে বাড়ছে। চলতি বছরে চিনে ফেসকিনির চাহিদা নজর কেড়েছে। ফেসকিনি তৈরি হয় অতিবেগুনি রশ্মিকে রুখে দিতে সক্ষম বিশেষ ধরনের সুতো দিয়ে।
যেহেতু ফেসকিনি মহিলারা ব্যবহার করছেন তাই এগুলি নানারকম ও নানা রঙের হয়। যা পরনের পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে পরা সম্ভব হয়। ফেসকিনিও অনেক সময় একরঙা না হয়ে তা নানারকমের রঙে ভরা হয়।