Lifestyle

হিমালয়ের খাবার এবার নেমে এল সমতলের রেস্তোরাঁয়, পরিবেশনেও আয়ুর্বেদিক চমক

হিমালয়ের পাহাড়ের খাবার এবার নেমে এল সমতলে। নেমে এল রেস্তোরাঁর টেবিলে। এই খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষ ধরনের আয়ুর্বেদিক চমক।

হিমালয়ের দুর্গম স্থানে যে খাবার পাওয়া যেতে পারে তা তো আর সমতলে পাওয়ার কথা নয়। সে নিতান্তই পাহাড়ি খাবার। সেসব পাহাড়ি খাবার এতদিন পাহাড়েই মিলত। সেটাও সহজে নয়। কিন্তু এবার সেই খাবার নেমে এল রেস্তোরাঁয়। খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রেও রয়েছে চমক। এখানে খাবার পরিবেশন করা হয় একটি থালায় ৪টি ভাগে। থালাটি আবার কাঁসার থালা। আয়ুর্বেদিক মতে যা শরীরের পক্ষে উপকারি। অ্যাসিডের সমস্যা দূর করে।

পাহাড়ি থাল নাম দিয়ে এই খাবার পরিবেশিত হয় হৃষীকেশের জল অ্যান্ড জিলেবি নামে একটি রেস্তোরাঁয়। যে রেস্তোরাঁটি গঙ্গার ধারে অবস্থিত। এখানেই শুরু হয়েছে পাহাড়ি থাল নামে একটি বিশেষ ধরনের থালি।


থালিতে থাকে হিমালয়ের বিভিন্ন অংশে জন্ম নেওয়া তাজা পাহাড়ি ফল ও সবজি। সবজি আবার দেশি ঘি দিয়ে আরও সুস্বাদু করে পরিবেশন করা হয়।

গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায় হিমালয়ের মাল্টা ও পোমেলো। শীতে কিন্তু এগুলি পাওয়া যাবেনা। তখন থালায় থাকবে রামফল। এগুলি সবই খিদে বাড়ায়। এরপর থাকে বিশেষ পানীয়। যা তৈরি হয় ভাতের ফ্যান, গাড়োয়াল অঞ্চলের বিশেষ ধরনের নুন, রসুন, ধনে, পুদিনা ও তুলসী দিয়ে।


এবার মেন কোর্স। খাবারে দেওয়া হয় গাড়োয়ালের গ্রাম পারোলাতে পাওয়া যাওয়া লাল চালের ভাত, ছোট ছোট আলু দিয়ে তারি আলু কে গুটকে, কাশ্মীরী পনির, অমরনাথের সবজি। হিমালয়ের বিভিন্ন হার্ব দিয়ে তৈরি গাহাত ডাল। এছাড়া থাকে দইয়ের কুমায়ুনী রায়তা, চিত্রা কে রাজমা, আমলকীর আচার।

মিষ্টির মধ্যে থাকে বাজরে কি ক্ষীর আর বালমিঠাই। বালমিঠাই হল খোয়া দিয়ে তৈরি নরম বাদামি রংয়ের মিষ্টি। শেষ পাতে গ্রীষ্মে পাওয়া যায় রোডোডেনড্রন ফুলের জুস আর শীতকালে পাওয়া যায় স্থানীয় নানা ওষধিগুণ সম্পন্ন পাতা দিয়ে তৈরি চা।

সব মিলিয়ে এভাবেই যুগ যুগ ধরে হিমালয়ের পাহাড়ি এলাকার প্রচলিত খাবারের স্বাদ এবার পাওয়া যাবে সমতলের ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button