ছিল মারুতি, যাদুকাঠির ছোঁয়ায় রাতারাতি হয়ে গেল রোলস-রয়েস
মারুতি ৮০০ গাড়িটিকে তো সকলেই কমবেশি চেনেন। আর রোলস-রয়েস হল বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল গাড়িগুলির অন্যতম। মারুতি কিন্তু রাতারাতি হাতের ছোঁয়ায় হয়ে যায় রোলস-রয়েস।
একটা সময় ভারতের রাস্তায় দাপটে ধুলো উড়িয়েছে মারুতি ৮০০। এমন এক গাড়ি যা কেনার জন্য অতি বড় ধনী হওয়ার দরকার ছিলনা। ফলে বহু মানুষই মারুতি ৮০০ গাড়িটি কিনে ফেলেছিলেন। আর সে গাড়ি তাঁদের বহুকাল ধরে কম ভুগিয়ে পরিষেবা দিয়ে গেছে।
আর অন্যদিকে রোলস-রয়েস সম্বন্ধেও শুনেছেন অনেকে। দেখেছেনও। কেউ কেউ চড়েছেনও। এ গাড়ি কিন্তু বিশ্বের অন্যতম সেরা গাড়িগুলির একটি।
বিলাসবহুল গাড়ির তালিকায় রোলস-রয়েস একটা আভিজাত্যের প্রতীক। ফলে মারুতি ৮০০-র সঙ্গে রোলস-রয়েসের কোনও তুলনাই হয়না। কিন্তু ধরুন যদি সেই মারুতি ৮০০ গাড়িটিকে রাতারাতি কেউ যাদুকাঠির ছোঁয়ায় রোলস-রয়েস বানিয়ে দেন!
এটাই কিন্তু বাস্তবে হয়েছে। কেরালার এক কিশোর এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে। একটি মারুতি ৮০০ গাড়িকে হাতের ছোঁয়ায় বানিয়ে দিয়েছে রোলস-রয়েসের মডেল।
হানিফ নামে ওই কিশোর অটোমোবাইল বলতে পাগল। তার সেই গাড়ির প্রতি ভালবাসার টানে সে একটি মারুতি ৮০০ গাড়ির দেহ বদলে দিয়েছে। বদলে ফেলেছে গাড়ির ভিতরটাও।
নতুন করে তৈরি গাড়ির দেহকে সাদা ধবধবে রংয়ে সাজিয়েও তুলেছে। আবার গাড়ির সামনে রোলস-রয়েসের পরীকেও সুন্দর করে সাজিয়েছে। এক আছে কেবল ইঞ্জিনের অংশটি।
এই মারুতি ৮০০ গাড়িকে রোলস-রয়েস বানাতে হানিফের খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। কিন্তু তার এই কাণ্ডের কথা ভারত বলেই নয়, বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তারিফও জুটেছে বিভিন্ন কোণায় থেকে।