চাইলে জেলের খাবার খেতে পারেন, খরচ কিন্তু কম নয়
জেলের খাবার এখন যে কেউ চাইলে খেতে পারেন। জেলের খাবার জেলের গণ্ডি পার করে এখন আমজনতার ঘরে। তবে দাম নেহাত কম নয়।
খুব খারাপ খাবার বোঝাতে অনেকে জেলের ভাতের কথাটা বলে থাকেন। জেলের খাবার নাকি এমনই খারাপ হয় যে তা মুখে তোলা যায়না। কিন্তু এখন সেই জেলের খাবারই কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাও আবার মোটা টাকা খরচ আছে সে খাবার খেতে।
জেলের খাবার বলতে কিন্তু বাস্তবিকই জেলের খাবার। জেলের বন্দিরাই সে খাবার তৈরি করে। তবে তা বিক্রি করার দায়িত্বে আগে জেলে ছিলেন এমন মানুষজন। মেনুও নেহাত খারাপ নয়।
সবই নিরামিষ খাবার। সবচেয়ে বেশি দামি থালিতে থাকে ৪টি রুটি, ভাত, ২ রকম তরকারি, ডাল এবং স্যালাড। সব মিলিয়ে দাম ৭০ টাকা। এটাই আপাতত সবচেয়ে দামি ডিশ।
এছাড়া চা রয়েছে ১০ ও ২০ টাকার। এছাড়া কেনা যাচ্ছে সিঙ্গারা, ভাত রাজমা, ভাত ছোলার তরকারি, পুরী ভাজি। এ সবই তৈরি করছে জেলের বন্দিরা। কানপুর জেলা সংশোধনাগারে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
কানপুর জেলের ১০ বন্দি এই উদ্যোগে শামিল রয়েছে। তারা রান্নাবান্নার দিক সামলাচ্ছে। আর জেলের বাইরে ওই খাবার বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন ১০ জন প্রাক্তন জেলবন্দি। ২টি অ্যাপের সাহায্যে এই খাবার বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া যাবে। আবার জেলের বাইরের আউটলেট থেকেও তা কেনা যাবে।
সেরা রাঁধুনিদের দিয়ে জেলবন্দিদের আরও খাবার তৈরি শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কানপুরের জেলাশাসক মনে করছেন এভাবে বন্দিদের সংশোধনের রাস্তা সহজ হবে।
গত ১১ ডিসেম্বর থেকে এই আউটলেট শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকার খাবার। বেশিটাই কিনেছেন বন্দিদের আত্মীয়রা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা