৫টি বিষয় মনে রাখলে শীতেও ঝলমল করবে ত্বক, ফেটে পড়বে সৌন্দর্য
শীতে সবচেয়ে বড় সমস্যা ত্বককে সজীব রাখা। তাকে ঝলমলে সুন্দর রাখা। তবে সারাদিনে জীবনযাপনে ৫টি বিষয় মাথায় রাখলেই এটা পাওয়া যে কারও পক্ষে সম্ভব।
শীতের দিন মানেই শুকনো ত্বকের সমস্যা। এজন্য নানা ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু তাতেও যে খুব ফল হয় তা নয়। কিন্তু শীতের দিনগুলোয় দৈনন্দিন জীবনে স্রেফ ৫টি বিষয় মাথায় রেখে দিলেই যে কারও ত্বক ঝলমল করবে। রূপ যেন ফেটে পড়বে। তবে শর্ত হল ওই ৫টি বিষয় কিন্তু মাথায় রাখতে হবে।
কি সেই ৫টি শর্ত? বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, একটি হল, শীত মানেই গরম জলে স্নান। কিন্তু সেখানেই বিপদ। কারণ গরম জলে স্নান করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব যেটুকু থাকে সেটাও ধুয়ে যায়। সবচেয়ে ভাল ঠান্ডা জল।
তবে সবার পক্ষে শীতে ঠান্ডা জলে স্নান করা সম্ভব হয়না। তাই সামান্য গরম জল মিশিয়ে ঠান্ডা জলের তীব্রতাটুকু নষ্ট করে গায়ে ঢালা সবচেয়ে ভাল। তাতে ত্বক ভাল থাকে।
দ্বিতীয় শর্ত হল, স্নান করার পর গায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতেই হবে। সেটাও পাতলা ময়েশ্চারাইজার নয়। বেছে নিতে হবে ঘন ময়েশ্চারাইজার। সেটাই গায়ে মাখতে হবে। যাতে ত্বকের থেকে ময়েশ্চারাইজার উবে না যায়।
তৃতীয়ত, অনেকেই শীতের ছোট দিন, নরম রোদের কথা মাথায় রেখে সানস্ক্রিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। সেটা কিন্তু একদম ভুল। শীতের দিনের নরম রোদেও হানিকারক অতিবেগুনি রশ্মি রোদে মিশে ত্বকে এসে পড়ে।
হানিকারক অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার, ভিজে ভাব শুষে নেয়। ত্বককে শুকিয়ে দিতে পারে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার প্রতিদিন করতে হবে। ওটা ভুললে চলবে না।
চতুর্থত, শীতে মুখে বেশি স্ক্রাব করা বা মৃত কোষ পরিস্কার করার অন্যান্য উপায় অবলম্বন করা থেকে দূরে থাকতে হবে। ৭ থেকে ১০ দিনে একবার এটা করলেই চলবে। এর বেশি করলে ত্বকের যে ময়েশ্চারাইজার আস্তরণ থাকে তা কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে শীতের দিনে।
পঞ্চম ও শেষ শর্ত হল খাওয়া। শীতের দিনে কিন্তু সঠিক খাবার বেছে নিতে হবে নিজের ত্বককে উজ্জ্বল, সজীব, ঝলমলে ও সুন্দর রাখতে। যথেষ্ট পরিমাণে ফল, সবজি ও হৃদযন্ত্রের পক্ষে উপকারি মাছ খেতে হবে।
কেবল জল পান করে শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখলেই হবেনা। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ফলের রস, স্যুপ পানও করতে হবে। এছাড়া ত্বকের শুষ্কতাকে দূরে রাখতে কাঠবাদাম খেতে হবে নিয়মিত। এগুলো মেনে চললে শীতের দিনেও কিন্তু উজ্জ্বল, ঝলমলে চোখে পড়ার মত ত্বক পেতে পারেন যে কেউ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা