এই জনজাতি খাবারের জন্য শিকার করে, অথচ সেই শিকার মুখেও তোলে না
এখনও অনেক জনজাতি পৃথিবীতে রয়েছে যারা শিকার করে নিজেদের খাবার জোগাড় করে। কিন্তু একটি জনজাতির মানুষ কষ্ট করে শিকার করেন ঠিকই, কিন্তু সে শিকার মুখেও তোলেন না।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই আদিবাসী জনজাতিদের দেখতে পাওয়া যায়। ভারতেও রয়েছে এমন অনেক জনজাতি। এঁরা প্রধানত জঙ্গলে থাকেন। নিজেদের সমাজে থাকতে পছন্দ করেন। বাইরের জগতের সঙ্গে একেবারেই মিশতে চান না। প্রকৃতির মাঝে তাঁরা তাঁদের মত করে একজোট হয়ে বসবাস করেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
বিশ্বের উন্নতিতে তাঁদের কিছু যায় আসেনা। তাঁরা কেবল নিজেদের মধ্যে নিজেদের মত করে বাঁচতে চান। এমনই এক আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে যারা শিকার করে খাবার সংগ্রহ করে। এজন্য তারা শিকারে যায়। বিভিন্ন পরিবার থেকে শিকারে যাওয়া হয়।
জঙ্গলেই থাকার ফলে সে জঙ্গলের কোথায় শিকার মিলবে তা তাঁদের ভাল জানা। জঙ্গলের মধ্যে লড়াই করে তাঁরা শিকারও করেন। সেই শিকার ঘরে নিয়ে আসেন।
কিন্তু ঘরে আনার পর সেই শিকার তাঁরা মুখেও তোলেন না। কিন্তু খাবার সংগ্রহ করতেই তো শিকার করা! তাহলে না খাওয়ার কারণ কি!
কারণ লুকিয়ে আছে এঁদের প্রাচীন এক প্রথায়। ভেনিজুয়েলার দক্ষিণ প্রান্তে এবং ব্রাজিলের উত্তর প্রান্তে সীমান্তবর্তী এলাকার ঘন জঙ্গলে বাস ইয়ানোমামি আদিবাসী গোষ্ঠীর। এরা যা শিকার করে তা এনে প্রতিবেশি বা ওই আদিবাসী গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে বিলিয়ে দেয়।
এভাবে তাঁরা নিজেদের করা শিকার মুখে তোলেন না ঠিকই, তবে আবার অন্য বাড়ির কেউ শিকার করলে তিনি আবার এঁদের বাড়িতে শিকারের অংশ দিয়ে যান। সেটা এই পরিবারে রান্না হয়।
এভাবে নিজেদের করা শিকার না খেলেও অন্য পরিবারের লোকজনের শিকার করা খাবার খেয়ে থাকেন তাঁরা। এই জনজাতির বিশ্বাস এভাবে তাঁদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্পর্ক দৃঢ় হয়।