মৃতদের বিশেষভাবে খাওয়ান পরিজনেরা, এটাই এখানকার রীতি
মৃত্যুর পর তো কাউকে খাওয়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু এখানকার মানুষ বিশ্বাস করেন মৃত্যুর পরও তাঁদের পরিজনদের খাওয়ানো যায়। তাঁরা বিশেষভাবে তাঁদের খাওয়ানও।
মৃত্যুর পর যে কোনও দেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়। ধর্মভেদে মৃতদেহ সৎকারের আলাদা আলাদা নিয়ম। হিন্দুরা দেহ দাহ করেন। মুসলিম বা খ্রিস্টানরা দেহ কবর দেন। এমন নানা রীতি প্রচলিত। কিন্তু মৃতদের দিনের পর দিন খাওয়ানোর কথা বড় একটা কেউ শুনেছেন কি? নাকি তা সম্ভব!
কিন্তু বিশ্বাসে সবই তো সম্ভব। রোমান যে সমাধিগুলি থাকে তা থাকে বিশেষ এক এলাকায়। সেই সমাধিস্থলে সারি দিয়ে মাটির তলায় কফিনে শুয়ে থাকেন মৃতরা।
পৃথিবীর সর্বত্রই খ্রিস্টানরা যেভাবে দেহ সৎকার করেন এখানেও সেই প্রথাই প্রচলিত। তবে এখানে আরও একটি বিষয় নজর কাড়ে। তা হল সমাধিস্থলে বিশেষ এক পাইপের ব্যবস্থা। যা মৃতদের খাবার খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।
রোমানরা তাঁদের পরিজনদের মৃত্যুর পরও খাওয়ানো চালিয়ে যান। তাঁরা মৃতদের মধু, ওয়াইন এবং অন্য খাবার খাইয়ে থাকেন। তা খাওয়ানোর জন্যই এই পাইপের ব্যবস্থা থাকে।
সেই পাইপে ঢেলে দেওয়া হয় খাবার। যা পাইপের মাধ্যমে তাঁদের মৃত প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে যায় বলে বিশ্বাস করেন রোমানরা। আর সেজন্য এভাবে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে পরিজনদের খাইয়ে থাকেন।
বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের দিনে তো এই খাওয়ানোর ব্যবস্থা অবশ্যই করেন জীবিত পরিজনেরা। রোমানরা বিশ্বাস করেন এভাবে তাঁদের আগের প্রজন্মের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক অটুট বন্ধনে আবদ্ধ থেকে যায়।