মানুষ যখন গাজর খেতে শেখে তখন গাজরের রং একদম আলাদা ছিল
গাজর স্বাস্থ্যকর এক আনাজ। মানুষ যখন গাজর চাষ শুরু করে তখন গাজরের রং একদম অন্যরকম হত। যার সঙ্গে এখনকার গাজরের রংয়ের কোনও মিল নেই।
গাজর সারা বিশ্বের মানুষেরই অন্যতম পছন্দের আনাজ। গাজরের গুণও অনেক। ভিটামিন এ এবং সি ভরপুর থাকে গাজরে। এছাড়া থাকে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এছাড়া ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সহ নানা খাদ্যগুণ ভরা থাকে গাজরে। গাজর চোখের জন্য দারুণ উপকারি।
এছাড়া শরীরে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গাজর উপকারি। ভাল রাখে হৃদযন্ত্র। মস্তিষ্কের পুষ্টিতেও গাজর উপকারি। এই নানা গুণসম্পন্ন গাজরের চাষ যখন প্রথম শুরু করে মানুষ, তখন কিন্তু গাজরের রং এখনকার চেনা গাজরের রংয়ের ছিলনা।
এখন শীতকালে লাল গাজর এবং সারাবছর কমলা রংয়ের গাজর পাওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত হয় এই কমলা গাজরই। যা সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।
কিন্তু যখন গাজর উৎপাদন করা মানুষ শিখল তখন কিন্তু গাজরের রং লাল বা কমলা ছিলনা। ছিলনা তার হলদেটে ভাব। বরং তখন গাজর হল গাঢ় বেগুনি রংয়ের।
এই গাঢ় বেগুনি গাজরই খেতে থাকে মানুষ। কারণ তা স্বাস্থ্যকর ছিল। কিন্তু সেই গাঢ় বেগুনি রংয়ের গাজর খেতে মোটেও সুস্বাদু ছিলনা। বরং একটু তিতকুটে খেতে হত।
অন্য কোনও গাজর উৎপাদন জানা না থাকায় তখন সেই গাজরই ব্যাপক আকারে ব্যবহার হত। পরবর্তীকালে গাজর নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন কৃষকরা। যার ফল হল এখনকার কমলা বা লাল গাজর।