বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় বড় ভরসা হয়ে সামনে এল ভারতের ডাল
দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশ এখন বিশ্বের অন্যতম সমস্যা। পরিবেশ রক্ষা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে এবার উঠে এল ভারতীয় ডালের নাম।
ডাল ভারতীয়দের অন্যতম এক খাবার। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে ভারতীয় পাতে ডাল থাকে। মুগ, মুসুর, অড়হর, ছোলা, মটর, বিউলি-র মত ডালেরা ভারতীয়দের রান্নাঘরে রাখা থাকেই। ভারতীয়দের মধ্যে এই ডাল খাওয়ার প্রবণতাকে আর মামুলি চোখে দেখতে পারছেনা বিশ্ববাসী।
অস্ট্রেলিয়ার এক বিশেষজ্ঞ বিশ্বের খাদ্য সমস্যা নিবারণ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মিলেট ও ডালের কথা তুলে ধরেছেন। মিলেট ও ডাল প্রায় এক গুণসম্পন্ন হলেও তিনি ডালকেই সামনে রেখেছেন।
পল নিউনহ্যাম নামে ওই অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ বিশ্বজুড়ে খাদ্য সমস্যা নিবারণে ডালের ভূমিকার গুরুত্ব সামনে আনার চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতে, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ যদি মাছ, মাংসের খরচ বহন নাও করতে পারেন তাহলেও তাঁরা ডাল খেয়ে সেই প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন।
ইউরোপে মাংসের নানা পদেও ডাল ব্যবহার হচ্ছে। আফ্রিকায় অবশ্য ডাল খুব কম হয় বলে সেখানে ডালের দামটা বেশি। আর ভারতে তো ঘরে ঘরে ডাল। ভারতে মায়ের তৈরি ডাল বলেও পরিচিতি পায় ডালের পদ। সেখানে আবার গোটা মুগের খুব কদর।
পরিবেশ রক্ষায় ডালের ভূমিকা কিন্তু অপরিসীম। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশে নাইট্রোজেনের ভারসাম্য রক্ষায় ডালের গাছ গুরুত্বপূর্ণ। আবার ডাল গাছ প্রচুর জলও টানে না। যা পরিবেশ পরিবর্তনে লাগাম দিতে পারে।
ডালে প্রচুর ফাইবার থাকে। আবার বিশ্ব কৃষি অর্থনীতিতেও ডাল গুরুত্বপূর্ণ। কার্যত ডালের গুণগান করে ডাল খাওয়ার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি, খাদ্য সমস্যা দূরীকরণ ও পরিবেশ রক্ষায় তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পল। এটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন আর্থিক অবস্থা যাই হোক, ডাল খেলে শরীরের সব দিক বজায় থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা