এবার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে অতিকায় ডাইনোসর
শোনা যাবে তার পদধ্বনি। শোনা যাবে ফোঁস ফোঁস নিঃশ্বাস। ভয়ংকর তার দাঁত। যেকোনও সময় তেড়ে আসতে পারে অতিকায় ডাইনোসর। ডাইনোসর ছাড়লেও কিংকংয়ের পাল্লায় পড়তে পারেন।
সিনেমার পর্দায় বা বইয়ের পাতায় তাদের অনেকবার দেখা গেছে। সিনেমার পর্দায় তাদের ভয়ংকর সব কার্যকলাপ কখনও ভয় ধরিয়েছে, কখনও অবাক করেছে। ছোটরা বিস্ফারিত চোখে অবাক হয়ে চেয়ে দেখেছে তাদের কাণ্ডকারখানা। এবার কিন্তু আর পর্দার ছবিতে বা বইয়ের পাতায় নয়, খোদ ৫৫ ফুটের ডাইনোসর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলবে।
এমন এক ডাইনোসর যা অতিকায় শরীর নিয়ে নড়বে, চড়বে, নিঃশ্বাস ফেলবে ফোঁস ফোঁস করে। তার পদধ্বনি কানে স্পষ্ট বেজে উঠবে। হাড় হিম করে দিতে পারে সে শব্দ।
শুধু কি ডাইনোসর! তার সঙ্গে ওই একই জায়গায় কেরামতি দেখাবে কিংকং, গডজিলা, ম্যামথ সহ আরও নানা অতিকায় ভয়ংকর জন্তুজানোয়ার।
এবার নবাবের শহরে প্রায় তৈরি জুরাসিক পার্ক। আর সিনেমার পর্দা নয়, এবার একদম চাক্ষুষ করার সুযোগ থাকছে ডাইনোসর, কিংকং, গডজিলাদের। এখানে এই জন্তুজানোয়াররা নড়াচড়াও করবে। আবার শোনা যাবে তাদের নিঃশ্বাসের আওয়াজ।
পার্কটি খোলার অপেক্ষায় দিন গুনছে। মূলত নষ্ট হওয়া টায়ার সহ নানা ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়েই এসব জন্তুজানোয়ারের মডেল তৈরি করা হয়েছে।
এদের একটি সেন্সর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিশেষ সাউন্ড এফএক্স তৈরি করা হয়েছে। যা দিয়ে শোনা যাবে তাদের নড়াচড়া বা নিঃশ্বাস ফেলার আওয়াজ।
ছোটদের তো বটেই, এমনকি সব বয়সের মানুষকেই আনন্দে ভরিয়ে তুলবে, অবাক করবে লখনউ শহরে তৈরি এই জুরাসিক পার্ক। যা সাধারণের জন্য খুলে যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা