স্মার্টওয়াচ পরে ঘোরেন, নতুন বিপদ ঘটছে অনেকক্ষেত্রে
স্মার্টওয়াচ এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। অনেকে আবার শারীরিক নানা তথ্য এই স্মার্টওয়াচের হাত ধরে সংগ্রহ করেন। তবে স্মার্টওয়াচ কিন্তু এখন অন্য বিপদ ডেকে আনছে।
স্মার্টওয়াচ যাঁরা পরেন তাঁরা নতুন সমস্যায় ভুগছেন। অন্তত এমনই দাবি করেছেন গবেষকেরা। আধুনিক জীবনে স্মার্টওয়াচ যেমন ফ্যাশন দুরস্ত, তেমনই তা শরীরের অনেক যন্ত্র ঠিক আছে কিনা তা জানান দেয়। সেগুলি সঠিকভাবে চলছে কিনা জানান দিতে থাকে।
সেখানে এদিক ওদিক দেখলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সতর্ক হন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এটা শুনে যতটা ভাল লাগছে বাস্তবে তা নয় বলেই দাবি করছেন একদল গবেষক।
তাঁদের মতে, স্মার্টওয়াচ ব্যবহারকারীদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। দুশ্চিন্তা তাঁদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।
গবেষকদের দাবি, স্মার্টওয়াচ বা শরীরের নানা তথ্য যে ওয়্যারেবল থেকে পাওয়া যায়, সেই ওয়্যারেবল যখনই শরীরের কোনও অঙ্গের ক্ষেত্রে একদম সঠিক রিডিং দেয়না, তখনই মানুষ চিন্তায় পড়ে যাচ্ছেন। তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।
নানাধরনের পরীক্ষা করাচ্ছেন। আর নিজেকে অসুস্থ মনে করে মানসিক চাপে ভুগছেন। সুস্থ থাকলেও বারবার শরীরের বিভিন্ন যন্ত্রের মাপকাঠি পরীক্ষা করে দেখছেন, তা সঠিক আছে কিনা।
এটাও একটা অসুখে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। সারাক্ষণই স্মার্টওয়াচ ব্যবহারকারীরা মানসিক চাপে রয়েছেন এই বুঝি তাঁদের শরীরের কোনও মাপকাঠি ঠিক নেই বলে জানান দিল স্মার্টওয়াচ বা ওয়্যারেবল। এসব ডিভাইসের ভাল দিক যেমন রয়েছে তেমন কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তা মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তার নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা