ছোট থেকে উৎসাহে খামতি ছিলনা, সাফল্য এল ৭৯ বছর বয়সে
ছোটবেলা থেকে অমোঘ টান ছিল। শখ ছিল বড্ড। বিয়ের পরও সে শখ ছাড়তে পারেননি। অবশেষে তার সুফল পেলেন তিনি। সাফল্য এল ৭৯ বছর বয়সে।
ছোট থেকে লালিত শখ ৭৯ বছর বয়সে এসে সাফল্য পেল। বয়সটা কি একটু বেশি হয়ে গেল? এই বয়সে সাফল্য হয়তো আর কেরিয়ার তৈরি করে দিতে পারবেনা। কিন্তু এক পরম শান্তির মৃত্যু তো দিতে পারবে। অন্তত জীবনের প্রতি কোনও খেদ হয়তো থাকবেনা ৭৯ বছরের বৃদ্ধা টোডো পেন্টালের।
খুব কম বয়স থেকেই আঁকার প্রতি ছিল অমোঘ টান। সময় পেলেই রং তুলি নিয়ে বসে পড়তেন ছবি আঁকতে। সেই শখ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরং আরও পেয়ে বসে।
বয়স একটু বাড়লে বিয়ে হয় এক ভারতীয় সেনার আধিকারিকের সঙ্গে। যিনি একাধারে ৬৫ ও ৭১-এর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সেনানীর ঘরণী হয়ে সংসার সাজানোর পাশাপাশি টোডো কিন্তু তাঁর রং তুলি ছাড়েননি। ক্যানভাসে ভাবনাগুলো রঙের খেলায় সেজে উঠত।
বাড়িতেই জমত একের পর এক ক্যানভাস। এক সময় শখটা পুরোদস্তুর থাকলেও তাঁর এসব ছবির যে কখনও কোনও প্রদর্শনী হতে পারে সে আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু মৃত্যু না আসা পর্যন্ত জীবন যে কখন কী ট্যুইস্ট নিয়ে অপেক্ষায় থাকে তা কারও বোঝা অসম্ভব। তাই হয়তো ৭৯ বছর বয়সে এসে টোডো পেন্টালের জীবনের সেই শখ এক পূর্ণতা পেল। তাঁর একটি একক প্রদর্শনী হল দিল্লিতে। যা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতন।
টোডো পেন্টালের এই প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছে হিমালয়ের সৌন্দর্য ও শহর থেকে দূরে তার দূষণমুক্ত এক শান্ত পরিবেশের হাতছানি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা