প্রেমভালবাসার মাঝে দেওয়াল তুলেছে করোনা
প্রেমভালবাসার স্বাভাবিক প্রকাশকে কার্যত গলা টিপে হত্যা করেছে করোনা। করোনা যে এই স্বাভাবিক জীবনস্রোতকে কতটা ধাক্কা দিয়েছে তার হিসেব দিল একটি খতিয়ান।
করোনা আছড়ে পড়ার পর একটা ভীতি পেয়ে বসে মানুষের জীবনে। স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ। লকডাউন মানুষকে ঘরে বন্দি করে দেয়। যা মানুষের মনের স্বাস্থ্যের ওপরও ভীষণ প্রভাব ফেলে।
এখন মনে হতেই পারে যেখানে ২টি মানুষ কর্মজীবনের ব্যস্ততায় একে অপরকে সেভাবে সময়ই দিতে পারতেন না, স্বামী-স্ত্রী লকডাউনের জেরে একে অপরের সঙ্গে দিনের পর দিন সকাল থেকে রাত সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন। তাতে তো তাঁদের প্রেমের গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা।
কিন্তু একটি রিপোর্ট বলছে হয়েছে ঠিক উল্টোটা। সে স্বামী-স্ত্রী হোন বা প্রেমিক-প্রেমিকা, করোনা তাঁদের ভালবাসা কমিয়ে দিয়েছে। প্রেমে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রী রাম কলেজ ফর ওমেন একটি গবেষণা চালায়। এজন্য ১০০ জন সম্পর্কে থাকা মহিলা ও পুরুষকে বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬৫ জোড়া ছিলেন প্রেম করছেন এমন, আর ৩৫ জোড়া ছিলেন সম্পর্কে দম্পতি।
২টি করোনা ঢেউতেই তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। দেখা গেছে করোনার আগে তাঁদের মধ্যে যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা করোনার পর একেবারেই আর নেই। বরং তার মাঝে তৈরি হয়েছে একটি দেওয়াল।
দাম্পত্যের ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্বও তৈরি হয়েছে। সেখানেও তৈরি হয় করোনার ভয়। ভালবাসা, প্রেম, একের অপরের প্রতি আগ্রহ সবই কমেছে করোনায়। এমনটাই পেয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা