উৎসব মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, বড় ভরসা কালো
কালো খাবারই এখন নাকি ভাল খাবার, অন্তত তাই দাবি করা হচ্ছে। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন খাবারের ভাল খারাপ দিক নিয়ে গবেষণা চলছে। আর তাতে কালো এখন ভালো।
সাধারণভাবে সবুজ, হলুদ এবং লাল রঙের খাবার নিয়েই চর্চা সবচেয়ে বেশি হয়। সুপার ফুডের তকমা সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের সবজি, ফলের ঝুলিতেই সবচেয়ে বেশি রয়েছে। ফলে তার চাহিদাও যথেষ্ট।
কিন্তু সেই তালিকায় যে কালোও ঢুকে পড়তে পারে তা হয়তো সেভাবেই কেউ ভেবে দেখেননি। অবশ্যই রংটা বিষয়। কালো রঙের খাবার অনেকেরই পছন্দের নয়। কিন্তু এবার বোধহয় ধারনা বদলানোর সময় এসেছে।
গবেষকেরা বলছেন কালো খাবারই ভাল খাবার। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, কালো রংয়ের ফল বা সবজিতে থাকে অ্যান্থোসিয়ানিন। কালো বলেই নয়, গাড় নীল বা পার্পল রংয়ের খাবারও এই তালিকায় পড়ে।
এতে স্বাস্থ্যকর উপাদান ভরা থাকে। হৃদরোগের সম্ভাবনা কমানো থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো, এমনকি আচমকা স্ট্রোক হওয়া থেকেও বাঁচিয়ে দেয় এই তথাকথিত কালো খাবার। দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কালো রংয়ের সবজি বা ফলের তুলনা নেই।
কালো চালের তৈরি ভাতের চাহিদা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট। ব্ল্যাক রাইস এখন দোকানেও পাওয়া যায়। দেখতে কালো হলেও খেতে ভাল এই চাল।
ফলে একবার খেলে তার পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখন কালো চাল খাওয়া শুরু করেছেন। এছাড়া ভারতীয়রা বহু প্রাচীন কাল থেকেই কালো ডাল খেয়ে থাকেন।
ভারতীয়দের খাদ্য তালিকায় এখন পাশ্চাত্য দেশের প্রভাব যথেষ্ট। সেই প্রভাবেই ভারতীয়রা অলিভ খেতে শিখে গেছেন। সে পাস্তাই হোক বা আচার, পানীয় হোক বা স্যালাড, সবেতেই অলিভ ব্যবহার বেড়েছে।
কালো রংয়ের অলিভ চোখ ভাল রাখে, ডিএনএ রক্ষা করে, চামড়া ভাল রাখে, চুল ভাল রাখে। কালো রংয়ের তিলও দারুণ উপকারি।
স্মুদি থেকে স্যালাড, লাড্ডু, পাউরুটি, তাহিনি সহ অনেক খাবারেই কালো তিল দেওয়া যেতে পারে। কালো আঙুর এমন একটি খাবার যা সহজলভ্য। কিন্তু এর খাদ্যগুণের তালিকা বিশাল।
এছাড়া এশিয়া জুড়েই এখন ক্রমশ কালো রসুনের চাহিদা বাড়ছে। কালো রসুন অবশ্য মাটিতে হয়না। এগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়।
তবে কালো রসুন এখন এশিয়ান খাবারে খুব ব্যবহার হচ্ছে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষেও দারুণ উপকারি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা