দুর্গাপুজোর মুখে সুখবর, বিদেশে পাড়ি দিল মিহিদানা, সীতাভোগ, নারকেল নাড়ু
পুজোর মুখে সুখবর এল রাজ্যবাসীর জন্য। এতদিন যার পরিচিতি ছিল দেশে, এবার তা পাড়ি জমাল বিদেশেও। তাও আবার জিআই ট্যাগ থাকা মিষ্টি।
বর্ধমানে যাঁরা গেছেন তাঁরা বা বর্ধমানের ওপর দিয়ে পাস করেছেন, তাঁরা বর্ধমান থেকে বাড়ি বা পরিজনের জন্য সীতাভোগ, মিহিদানা কেনেননি এমনটা কমই হয়।
আবার ধরুন যাঁদের সঙ্গে গাড়ি থাকে তাঁরা ওই পথে শক্তিগড়ের ল্যাংচাও সানন্দে চেখে দেখেন। বাড়ির জন্যও নিয়ে নেন। বাঙালি মানেই মিষ্টির প্রতি এক অমোঘ টান থাকবেই।
বাংলার মিহিদানার গায়ে আবার রয়েছে জিআই ট্যাগ। অর্থাৎ কোনও মিষ্টি কোথা থেকে এল তার পরিচয় বহন করে জিআই ট্যাগ। সেখানে বর্ধমানের মিহিদানার আবার বাংলার খাস মিষ্টির তকমা রয়েছে।
সেই মিহিদানা এবার পাড়ি দিল বিদেশে। তাও আবার পুজোর মুখেই। দিওয়ালীর আগে আরও যাচ্ছে দেশের সীমা পার করে। সঙ্গে গেছে ল্যাংচা, সীতাভোগ, চন্দ্রপুলি ও নারকেল নাড়ু।
এসব মিষ্টি পাড়ি দিয়েছে বাহরাইন। বাহরাইনের বিভিন্ন আলজাজিরা স্টোরে পাওয়া যাবে মিষ্টিগুলি। যা সেখানকার মানুষের রসনা তৃপ্তি তো করবেই, সেইসঙ্গে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়, বিশেষ করে বাঙালির মন জয় করবে।
বিদেশে বসে নারকেল নাড়ু, মিহিদানা, ল্যাংচা, সীতাভোগ বা চন্দ্রপুলি পাওয়া তো মুখের কথা নয়। সেটাই এবার বাহরাইনে সহজলভ্য হতে চলেছে।
এরফলে একাধারে বাংলার এসব মিষ্টির যেমন বিশ্বে পরিচিতি আরও বাড়বে, তেমনই বাড়বে এগুলির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। যা আখেরে বাংলার এসব মিষ্টি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষকে বাড়তি লাভের মুখে দেখাবে। করোনা বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে যা অবশ্যই বাড়তি পাওনা হয়ে উঠবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা