জেল থিমে রেস্তোরাঁ, কারাগারে বসে খাওয়া, রান্নাও হবে জেলের মতই
উদ্ভাবনী ভাবনা যদি নজর কাড়া হয় তাহলে তা জানতে বাকি থাকেনা। সেটাই হয়েছে। খোলার আগেই ছড়িয়ে পড়েছে জেল থিমের রেস্তোরাঁর খুঁটিনাটি।
আসলে রেস্তোরাঁ। তবে হুবহু জেল। রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করার জন্য জেলের দরজা খুলেই ঢুকতে হয়। তেমন ভাবেই দরজা তৈরি হচ্ছে। ভিতরে ঢুকলে সকলের মনে হবে জেলে প্রবেশ করেছেন।
সেখানে একের পর এক থাকবে কারাগার। সেই সব সেলের মধ্যেই পাতা থাকবে টেবিল চেয়ার। সেখানেই বসে খাওয়া।
জেলের দেওয়াল, জেলের পোশাক, হ্যান্ডকাফ, লাল আলো সবই সাজানো হবে জেলের কথা মাথায় রেখে। এখানেই যে কেউ আসতে পারবেন পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে। যেমন আর পাঁচটা রেস্তোরাঁয় মানুষ যান।
এই জেল থিমের রেস্তোরাঁয় খাবারও রাঁধবেন জেল খেটে আসা মানুষজনই। জেলে যে খাবার কয়েদিদের দেওয়া হয় সেই খাবারও থাকবে মেনুতে। সব দিক থেকে জেলের মধ্যে থাকার আবহ তৈরিতে কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ উদ্যোগী সংগঠন।
দিল্লির তিহার জেলের সামনে এই রেস্তোরাঁ তৈরি হতে চলেছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়ে গেছে। উত্তরপ্রদেশ অপরাধ নিরোধক সমিতি এই রেস্তোরাঁ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
এই রেস্তোরাঁয় আগে কাজ পাবেন জেল খেটে বার হওয়া মানুষজন। জেল জীবন কাটিয়ে বের হওয়ার পর যাতে তাঁরা কাজ করে একটা সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁরা জেলের মধ্যেই কাটানোয় সেখানকার আদবকায়দা, সেখানকার খুঁটিনাটি এঁরা ঠিকঠাক রাখতে পারবেন।
আবার মানুষ এমনিই যেমন এই আজব থিমের রেস্তোরাঁয় ঘুরে যেতে আগ্রহী হবেন, তেমনই এখানে একবার অন্তত খাওয়ার চেষ্টা অনেকে করবেন বলেই মনে করছে উদ্যোগী সমিতি। তাদের মতে শ্রীকৃষ্ণও কারাগারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই সেই আবহে একবার খেতে চাইবেন অনেকেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা