বাতাসে বিষ, ঘরের মধ্যের বায়ুদূষণকে একেবারেই অবহেলা নয়
বায়ুদূষণ এখন খুব প্রচলিত শব্দ। যা নিয়ে মানুষ চিন্তায় থাকেন। দিল্লির দূষণ খবরে এলেও বাতাসে বিষ কিন্তু ভারতের বড় অংশ জুড়েই রয়েছে।
দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় পূর্বাভাসমতই বায়ুদূষণ দিওয়ালীর পর বাড়ছে। অনেকক্ষেত্রে তা শ্বাস নেওয়ারও অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বার হওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লির দূষণ মাত্রা চরমে ওঠে। কিন্তু এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে দূষণ মাত্রাতিরিক্ত।
বায়ুদূষণের কথা এলে মানুষ বাড়ির বাইরের দূষণকেই সাধারণত বোঝেন বা গুরুত্ব দেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, রাস্তায় বার হওয়ার পর যে দূষণের কবলে পড়তে হয় মানুষকে, সেই একই পরিমাণ দূষণের কোপে তাঁরা পড়েন বাড়িতেও।
কিন্তু অনেকেই মনে করেন বাড়িতে যতক্ষণ আছেন ততক্ষণ দূষণ থেকে দূরে আছেন। তা কিন্তু সঠিক নয়। বরং অনেক ক্ষেত্রে বাইরের দূষণের চেয়েও বাড়িতে দূষণ মাত্রা বেশি হয় বলে দেখা গেছে।
বায়ুদূষণ মানুষের শরীরে নানা সমস্যার কারণ হয়। শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ বায়ুদূষণ হতেই পারে।
এছাড়া চোখে নানা সমস্যা হয়, চামড়ার অসুখ হতে শুরু করে, ক্লান্তি বাড়ে, ঘুম ঘুম পায়, এমনকি মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতাও কমে যেতে পারে। এসব থেকে মুক্তি পেতে বাড়িকে দূষণমুক্ত রাখা জরুরি।
বাড়িকে বায়ুদূষণ থেকে বাঁচাতে বিশেষজ্ঞেরা বেশকিছু পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, বাড়িতে এরোসল বর্জিত দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত। পরিস্কার করার জন্য গন্ধযুক্ত কিছু ব্যবহার করতে মানা করছেন তাঁরা।
ডাক্ট এবং ফিল্টার সবসময় পরিস্কার রাখা উচিত। যাতে দূষণমুক্ত বাতাস ঘরে পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক বায়ুদূষণ রোধক ঘরে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে এজন্য বাড়িতে ঘরের মধ্যে থাকে এমন গাছ লাগানো উচিত। তাতে ঘরে অক্সিজেন বাড়ে, বায়ুতে থাকা ক্ষতিকারক জিনিস কমে। এছাড়া পারলে ঘরে এয়ার পিউরিফায়ারও ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা