দিশি মদ নয়, মহুয়া দিয়ে এখন তৈরি হচ্ছে একটি জনপ্রিয় মিষ্টি
মহুয়ার কথা সাহিত্য, সিনেমাতেও বিভিন্ন সময় জায়গা করে নিয়েছে। মহুয়া বললেই দিশি মদের কথা মনে হলেও সেই মহুয়া এখন ব্যবহার হচ্ছে জনপ্রিয় মিষ্টি তৈরি করতে।
মহুয়া দেশের অনেক জায়গায় হয়। তবে তা প্রচুর পরিমাণে হয় ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের বিশাল অরণ্য জুড়ে। এখানে জঙ্গলে মহুয়া ফুল এত হয়ে থাকে যে তার পরিমাণ মেপে ওঠা মুশকিল। ফলে এটি অত্যন্ত সহজলভ্য একটি ফুলে পরিণত হয়েছে।
মহুয়া ফুলে ভরা থাকে মধু। এই ফুল থেকে তৈরি হয় দিশি মদ। মহুয়ার নেশার কথা বারবার উঠে এসেছে বাংলা সাহিত্য সিনেমাতেও। এই ফুলটি থেকে মদ তৈরি হয় স্থানীয় গ্রামগুলিতে।
গ্রামের মহিলারাই প্রধানত মহুয়া থেকে দিশি মদ তৈরির কাজে যুক্ত থাকেন। বিহারের জঙ্গলে মহুয়া ফুল আকছার পাওয়া যায়। ফলে এখানে জঙ্গল লাগোয়া অনেক গ্রামে মহুয়া থেকে দিশি মদ তৈরি কুটির শিল্পে পরিণত হয়েছিল।
কিন্তু কয়েক বছর আগে বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়। সরকারি নির্দেশ অমান্য করেও মহুয়া থেকে দিশি মদ তৈরি লুকিয়ে চালাতে গিয়ে ১ হাজারের ওপর মানুষ গ্রেফতার হন। তারপর কার্যত বন্ধ হয়েছে মহুয়া দিয়ে দিশি মদ তৈরি।
বহু মহিলার জীবনে রোজগারের একটা দিশা ছিল মহুয়া থেকে দিশি মদ তৈরি করা। বিহার সরকার তা বন্ধ করায় তাঁরা কাজ হারান।
এদিকে জঙ্গলে তো মহুয়া ভরে জন্ম নিচ্ছে। তাই এবার অন্য পথ নেন ওই মহিলারাই। গয়া জেলার সোমিয়া গ্রামের মহিলারাই পথ দেখান। তাঁরা মহুয়া ফুল দিয়ে শুরু করেন জনপ্রিয় মিষ্টি তিলকূট বানানো।
তিলকূট তৈরি হয় গুড়, তিল, বাদাম দিয়ে। এবার সেই তিলকূট তৈরিতে যোগ হয়েছে মহুয়া। যা তিলকূটের স্বাদ যেমন অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে, তেমনই স্থানীয় মহিলাদের কিছু রোজগারের মুখ দেখিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা