বেলুন বিক্রেতা কিশোরীর রাতারাতি বদলে গেল জীবন
অভাবের সংসারে বেলুন বিক্রি করে যা রোজগার করত কিশোরী। কিন্তু সেও জানত না রাতারাতি বদলে যেতে চলেছে তার পুরো জীবনটা।
মেলায় ঘুরতে আসা এক ফটোগ্রাফারের নজর গিয়ে পড়ে এক বেলুন বিক্রেতা কিশোরীর ওপর। কিশোরীর রূপে অর্জুন কৃষ্ণণ নামে ওই ফটোগ্রাফারের চোখ আটকে যায়।
কিশোরী ও তার মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বেশ কিছু ফোটো তোলেন ওই ফটোগ্রাফার। তারপর সেই ফোটোগুলি দেখান ওই কিশোরী ও তার মাকে।
২ জনই অবাক হয়ে যান কিশোরীর সেই ছবিগুলি দেখে। তাঁর মেয়ে যে এত সুন্দর তা যেন কিশোরীর মা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না।
এদিকে ওই ফটোগ্রাফার একটি ছবি সোশ্যাল সাইটে দেন। যা দেখে অনেকেই শেয়ার করেন ছবিটি। সেই ছবি দেখে কিসবুর কাছে হাজির হন এক ব্যক্তি। তিনি ফোটোশ্যুটে রাজি করান ওই পরিবারকে। তারপর এক মেকআপ আর্টিস্টকে দিয়ে বদলে ফেলা হয় কিসবুর রূপ।
হিরে যেমন কেলাসের আকারে আনলে তার ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যায়, ঠিক তেমনই যেন কিসবুর রূপ বহুগুণ বেড়ে যায় মেকআপের পর। সনাতনি শাড়িতে তার ফোটোশ্যুট হয়। সেই ছবি রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
রাতারাতি বদলে যায় এক বেলুন বিক্রেতা কিশোরীর জীবন। এমন করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর খনিতে পাথরের কোণায় লুকিয়ে থাকা হিরে বেরিয়ে আসছে আলোয়। ঝলমল করে উঠছে তার দ্যুতি।
সোশ্যাল মিডিয়ার এ ধরনের আবিষ্কার কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষকে রাতারাতি পরিচিতি দিয়েছে। তাঁদের সেলেব্রিটি বানিয়েছে। হায়দরাবাদের একটি মেলায় বেলুন বেচা কিসবু তেমনই এক উদাহরণ হয়ে রইল।