বিভিন্ন মন্দিরে সারাদিন ভক্তের ঢল লেগে থাকে। সকলেই মন্দিরের বিগ্রহকে ফুল দিয়ে পুজো দেন। ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন মন্দিরে প্রচুর পরিমাণে দেবতাকে অর্পণ করা ফুল জমা হয়। সেসব স্তূপাকার ফুল কার্যত এক সময়ে জঞ্জালে রূপান্তরিত হয়। যা সাফ করাটাই একটা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
তবে মন্দিরে মন্দিরে দেবতার পুজো দেওয়া বিশাল পরিমাণ ফুল আর হয়তো জঞ্জাল করে ফেলে দিতে হবে না। ভাবতে হবে না ওই বিশাল পরিমাণ ফুল কোথায় ফেলা হবে। কারণ মন্দিরে মন্দিরে দেবতাকে অর্পণ করা ফুল দিয়ে এবার সুগন্ধি ধূপকাঠি তৈরি করতে চলেছেন রবিন্দর প্রশার নামে এক নতুন উদ্যোগী।
হিমাচল প্রদেশের উনা-র ছেলে রবিন্দরের মাথায় এই নতুন ভাবনা আছে। কিন্তু বিভিন্ন মন্দিরে জমা হওয়ার প্রচুর ফুল জোগাড় তো করা যাবে। কিন্তু তা দিয়ে ধূপকাঠি তৈরি হবে কী করে? সে সমস্যা মিটিয়েছে ওয়াই এস পারমার বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগ। তারাই রবিন্দরকে তাঁর স্বপ্ন পূরণে প্রযুক্তিগত সাহায্য দিচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্টার্টআপ প্রকল্পের আওতায় রবিন্দরের এই নয়া প্রকল্পের অর্থও যোগাড় হয়ে গেছে।
খোলা জায়গায় মন্দিরের ফুল জমে পচতে দেখা গেছে অনেক জায়গায়। অনেক সময়ে সেসব ফুল নর্দমায় ফেলা হয়। এবার সেসব সমস্যাও মিটবে। কারণ ওই ফুল ব্যবহার হবে জৈব ধূপকাঠি তৈরিতে। ফুল থেকে পাওয়া তেল থেকেই তৈরি হবে ধূপকাঠিগুলি। কোনও কাঠকয়লা জাতীয় কিছু এই সুগন্ধি ধূপ তৈরিতে ব্যবহার হবে না। ব্যবহার হবে না কোনও কৃত্রিম রাসায়নিক। আবার ফুলের থেকে তার তেল বার করে নেওয়ার পরও যে বর্জ্যটি পড়ে থাকবে তা দিয়ে তৈরি হবে সার।
আপাতত ৫টি গন্ধে এই ধূপ বাজারে আসতে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে রোজ, স্যান্ডাল, ল্যাভেন্ডার। আগামী জুন মাস থেকেই বাজারে এই অর্গানিক ধূপ পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে জুন মাস থেকেই সাধারণ মানুষ এক নতুন ধূপ বাজারে পেতে চলেছেন। পেতে চলেছেন তাঁদের ঠাকুর ঘর থেকে মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য। প্রতিটি ধূপ তৈরি হবে হাতে করে পাকিয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা