পরীক্ষা ভীতি কাটানোর সহজ কিছু পন্থা
পরীক্ষা নিয়ে অনেক সময়ই চিন্তায় থাকে পড়ুয়ারা। অনেকক্ষেত্রে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে একই ভাবে উদ্বেগে থাকেন অভিভাবকরাও। এর হাত থেকে মুক্তি কোন পথে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে নানা মানসিক সমস্যায় পড়ে পরীক্ষার্থীরা। কারণ নিজেদের দক্ষতা সম্পর্কে অনেকক্ষেত্রে তারা সংশয়ে থাকে। পরীক্ষা যত এগিয়ে আসে পড়ুয়াদের কেউ কেউ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে অভিভাবকদের একাংশ ছেলেমেয়ে কতক্ষণ লেখাপড়া করছে, পরীক্ষার ফল কী হবে আর ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের ওপর তার কী প্রভাব পড়বে, এনিয়ে বিচলিত থাকেন। দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মতো অভিভাবকরাও অনেকক্ষেত্রেই থাকেন চিন্তিত।
অভিভাবকদের উচিত পরীক্ষার্থীর পাশে থেকে তাদের সাহায্য করা। যাতে উদ্বেগ থেকে পরীক্ষার আগে মুক্ত হতে পারে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার উদ্বেগ কাটাতে যদি অভিভাবকরা পরীক্ষার্থীকে সহায়তা করেন তার ফল ইতিবাচক হয়।
ভালো ফলের জন্যে সন্তানের ওপর লেখাপড়া নিয়ে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ভীতি বেড়ে যেতে পারে। অভিভাবকদের উচিত সন্তানকে উৎসাহ দেওয়া। এতে পরীক্ষা ভীতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
পরীক্ষা নিয়ে সন্তানদের ওপর অভিভাবকদের অযথা চাপ সৃষ্টি করার কোনও প্রয়োজনই নেই। সন্তানকে বেশি বেশি নম্বর পাওয়ানোর চেষ্টায় মরিয়া যে সব অভিভাবক, তাঁরা অনেকসময় নিজেরাই মানসিক বা আবেগজনিত নানা সমস্যার শিকার হন।
অভিভাবকদের উচিত পরীক্ষার্থী সন্তানের সঙ্গে শান্ত ব্যবহার করা। সন্তানকে শেখানো উচিত কীভাবে নিজের ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করা যায়।
সন্তান লেখাপড়ায় অমনোযোগী হলে তাকে সহায়তা করা উচিত অভিভাবকদেরই। কারণ ছেলেমেয়েরা অনেক সময় তাদের উদ্বেগ ভাগ করার মতো ভাগীদার খুঁজে পায়না। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।
অভিভাবকদের উচিত ছেলেমেয়ের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে দরকার হলে অতিরিক্ত সময় বার করে সন্তানদের পাশে থাকা। সন্তানকে সিলেবাস শেষ করার পরিকল্পনা করে দেওয়া। কোনও একটা উপায় যদি এক্ষেত্রে কাজে না লাগে তবে অভিভাবকদের উচিত অপর উপায় খুঁজে বার করা।
অভিভাবকদের নজর রাখা উচিত সন্তান যেন প্রতিদিন স্বাস্থ্যকরভাবে জীবন কাটায়। লেখাপড়া এবং বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। রাত জেগে লেখাপড়া করার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। ছেলেমেয়েকে এই অভ্যাস থেকে নিবৃত্ত করা উচিত।
পরীক্ষা শেষেও সন্তানের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত অভিভাবকদের। দেখা উচিত সন্তান যেন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে নিঃসঙ্গতায় না ভোগে। বরং সে বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। সন্তানের কথাও মন দিয়ে শোনা উচিত। সবসময় সন্তানের ভুল ধরাটাও ঠিক নয়। অভিভাবকদের সবসময়েই উচিত সন্তানকে আত্মনির্ভর করে তুলতে পথ দেখানো। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা