Lifestyle

১৮৩ বছরের পরম্পরা মেনে ১ মাসের জন্য খোলে নবাবি রান্নাঘর

দেশের কোণায় কোণায় লুকিয়ে আছে চমকে ভরা ইতিহাস। যার কিছু কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। কিছু আজও জীবিত। তারই একটি ১৮৩ বছরের নবাবি রান্নাঘর।

এ ইতিহাস জানতে পিছিয়ে যেতে হয় ১৮৩ বছর। সময়টা ১৮৩৯ সাল। সে বছর অওধের তৃতীয় রাজা মহম্মদ আলি শাহ এক নিয়ম চালু করলেন। লখনউয়ের ছোটা ইমামবাড়ায় শুরু হচ্ছে এক রান্নাঘর। সারা বছরের জন্য নয়। এই শাহী রান্নাঘরের আয়োজন হল কেবল মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজানের দিনগুলোর জন্য।

সারাদিন অভুক্ত থাকার কঠিন নিয়ম পালনের পর ৩ হাজার দরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া শুরু হয় খাবারের। যাতে দারিদ্রের কারণে রমজানের সময় ইফতার করতে বা খাবার পেতে তাদের কোনও সমস্যা না হয়।


সেই শুরু হয় নবাবি রান্নাঘরের। তারপর ১৮৩ বছর ধরে চলে আসছে এই রান্নাঘর। যা গত ২ বছরে অতিমারির কারণে ধাক্কা খায়। এবার কিন্তু ফের তা ফিরছে সেই আদি পরম্পরা মেনেই।

চলতি বছরে রমজান মাস শুরু হচ্ছে ২ এপ্রিল, শনিবার থেকে। এদিন থেকেই চালু হচ্ছে ছোটা ইমামবাড়ার এই ১৮৩ বছরের রান্নাঘর।


এখান থেকে ১৩টি মসজিদে পৌঁছবে রান্না করা খাবার। যা ইফতার করতে সেখানে উপস্থিতদের কাজে লাগবে। এছাড়া ৬০০ দরিদ্র পরিবারের কাছেও পৌঁছবে খাবার।

ইফতারের জন্য এখান থেকে দেওয়া হয় বান বাটার, প্যাটিস, সামোসা, কেক, পকোরা, চিপস, ফল এবং এমনই নানা খাবার। রাতের জন্য দেওয়া মাথা পিছু ২টি করে তন্দুরি রুটি আর ডাল অথবা অওধের বিশেষ পদ ‘টালে হুয়ে আলু কা সালান’।

রমজানের দিনগুলোয় প্রতিদিন সকালে ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলে এই নবাবি রান্নাঘরের রান্নাবান্না। যা চলে ইদের দিন পর্যন্ত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button