ছোটবেলার কথা মনে পড়াচ্ছে খেলনা ট্রেনে আসা পছন্দের খাবার
ছোটবেলার স্মৃতি ভোলার নয়। আর ছোটদের খেলার অন্যতম সঙ্গী হয় খেলনা ট্রেন। এবার তাতেই আসছে খাবারদাবার। যা ছোটবেলার সেই স্মৃতি ফের উস্কে দিচ্ছে।
ছোটদের জগতটা ততোধিক ছোট হয়। তবে তাদের সেই নিজের জিনিসের জগতটা তাদের মনের গভীরে এক চিরন্তন ছাপ রেখে যায়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই স্মৃতি ঝাপসা হতে পারে, কিন্তু হারিয়ে যায়না।
আর যদি সেই স্মৃতি একটু উস্কে দেওয়া হয় তখন সব বয়সের মানুষই ফিরে যান ছোটবেলার সেই দিনগুলোয়। এই ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে রাতারাতি প্রচারের আলোয় এল একটি রেস্তোরাঁ।
রেস্তোরাঁর নাম ‘ট্রেনিয়ান এক্সপ্রেস’। যেখানে বহু মানুষ খেতে এসে কিছুটা থমকে যাচ্ছেন। তাঁরা পছন্দের খাবার অর্ডার দিচ্ছেন ঠিকই, তবে তা সার্ভ করতে আসছেন না কোনও ওয়েটার। বরং খেলনা ট্রেনে চেপে আসছে তাঁদের অর্ডার করা খাবার।
পুরো রেস্তোরাঁয় ট্রেন লাইন পাতা রয়েছে টেবিল ধরে। কোনও গ্রাহক কিছু অর্ডার করার পর তাঁর খাবার সরাসরি রেস্তোরাঁর রান্নাঘর থেকে ট্রেনে চেপে চলে আসছে টেবিলে।
এর মাঝে তাতে কোনও মানুষের দরকার পড়ছে না। সঠিক টেবিলে খেলনা ট্রেন তার পিঠে করে নিয়ে আসছে অর্ডার করা খাবার। টেবিলে টেবিলে তা পৌঁছে যাচ্ছে।
ট্রেনের এক একটি কামরার কোনওটায় রাখা থাকছে ভাত, কোনওটায় কারি, কোনওটায় পাঁপড়, কোনওটায় স্যালাড তো কোনওটায় অন্য কোনও অর্ডার করা খাবার।
এই খাবার গ্রাহকদের টেবিলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক ট্রেন। লাইনও রয়েছে একাধিক। বিভিন্ন রুট ধরে ট্রেন পৌঁছচ্ছে খাবার নিয়ে।
গুজরাটের সুরাটের এই রেস্তোরাঁর এখন অন্যতম আকর্ষণই হয়ে উঠেছে এই খেলনা ট্রেনে খাবার আসা। নিছক এই দারুণ অভিজ্ঞতাটা করতেই বহু মানুষ বাড়ির ছোটদের নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন ওই রেস্তোরাঁটিতে। এই খেলনা ট্রেনের ভাবনা রেস্তোরাঁটিকে শহরের অন্যতম জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ করে তুলেছে অচিরেই।