এই কাফেতে এলে ঋতুস্রাব নিয়ে আর কোনও প্রশ্নই গোপন থাকবেনা
ঋতুস্রাব আর কাফে! তাও আবার একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল! চমক লাগার মত ঘটনা উপহার দিল এক চমৎকারের। এও সম্ভব তা জানল দেশ।
ঋতুস্রাব যেকোনও নারীর জীবনের খুব স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। যা প্রতিটি মেয়ে কৈশোরেই উপলব্ধি করে। প্রাথমিক ভয়, দ্বিধা, দ্বন্দ্ব সবই কাটিয়ে দেন মা বা বাড়ির অন্য মহিলা সদস্যরা। পরে বন্ধুরাও একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তায় এই ঋতুস্রাব এবং ঋতুস্রাব জনিত সমস্যা নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হয়।
কিন্তু তার পরেও ঋতুস্রাব এবং তার বৈজ্ঞানিক দিক, শারীরিক দিক নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকে যায়। যার উত্তর চেয়েও পান না মহিলারা।
ভারতের মত দেশে ঋতুস্রাব নিয়ে একটা রাখঢাকও রয়েছে। অধিকাংশ মহিলাই বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে দ্বিধা বোধ করেন।
নানা সংস্কারও ছোট থেকে তাঁদের মনে গেঁথে যায়। এ সব কিছু থেকে মুক্তির পথ খুললেন পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত দামোদরন। তাঁর ভাবনায় দেশে প্রথম জন্ম নিল মেনস্ট্রুয়াল কাফে।
কেরালার তিরুচিতে এই মেনস্ট্রুয়াল কাফে ঋতুস্রাব নিয়ে মেয়েদের খোলা মনে আলোচনার পথ খুলে দিয়েছে। এই কাফেতে সারাক্ষণ ২ জন বিশেষজ্ঞ থাকছেন। যাঁরা এখানে আগত কিশোরী থেকে মহিলা সকলের ঋতুস্রাব সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। তাঁরা এই মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময়ে শরীরের যত্ন নেওয়ার পাঠ দিচ্ছেন। কাটিয়ে দিচ্ছেন যাবতীয় ভয় ভীতিও।
এমন কাফে সারা ভারতেই ছড়িয়ে দিতে চান দামোদরন। তাঁর এই উদ্যোগ নতুন ভারতের জন্য এক নতুন দিশা খুলে দিল বলেই মনে করছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা